অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়ার কারণ জানালেন মুশফিক

২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে মাঝপথে হঠাৎ করেই অধিনায়ত্ব থেকে সরে দাঁড়ান মুশফিকুর রহিম। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেয়া প্রসঙ্গে জাতীয় দলের এ তারকা ক্রিকেটার সম্প্রতি বলেছেন, আসলে পরিবেশটা ঠিক আমার পক্ষে ছিল না। আমার কাছে মনে হয়েছে, অধিনায়ক হিসেবে আমি দলকে সেভাবে অনুপ্রাণিত করতে পারছি না। আর দলের অন্যতম সিনিয়র প্লেয়ার হিসেবে হয়তো তেমন কিছু দিতে পারছি না- এই ভেবেই আসলে অধিনায়ত্ব ছেড়েছিলাম।

২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ব্যাঙ্গালুরুতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে পরপর দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকানোর পর তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হন মুশফিক। তার সেই আউটের পরই বাংলাদেশ তীরে গিয়ে তরী ডুবায়।

সেই ম্যাচ প্রসঙ্গে মুশফিক বলেন, আমি চেয়েছিলাম যে স্ট্রাইকে থেকেই যেন খেলাটা শেষ করতে পারি। কারণ, নন স্ট্রাইক ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাইও সেট ছিলেন না। যেহেতু আগের দুই বলে পরপর চার মেরেছিলাম, তাই একটু হয়ত আস্থা ও বিশ্বাস বেশি ছিল। এটা সত্য, পরপর দুই বাউন্ডারির পর আর চার ও ছক্কার দরকার ছিল না। আমি চেয়েছিলাম বোলার পরপর দুই বলে চার হজম করে চাপে আছে, আসলে আমার প্রয়োগটা হয়তো ঠিক ছিল না। সেটা ক্যাচ না হয়ে যে কোনো জায়গা দিয়ে সীমানার ওপারেও যেতে পারত।

সেই আসরে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ জয়ের পর টুইট করেন মুশফিক। তার সেই টুইট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সেই টুইট নিয়ে মুশফিক বলেন, আমি ইচ্ছে করে কখনো করিনি। কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য তো নয়ই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমার অনেক ফেবারিট একটি দল। হয়তবা পরিবেশ ও রকম হয়ে গেছে। লিখা পড়ে যাই মনে হোক না কেন, আমার উদ্দেশ্য মোটেই নেতিবাচক ছিল না।

মুশফিক আরও বলেন, কোন দলকে ছোট বা হেয় প্রতিপন্ন করে আমি সেটা লিখিনি। তারা দারুণ এক ম্যাচ জিতেছে, ইন্ডিয়ার মত দলের বিপক্ষে, তাও তাদেরই মাটিতে এমন এক জয় পেয়েছিল, তাই আবেগতাড়িত হয়ে লিখেছিলাম। আমি এখনো বাংলাদেশের পরে যদি কোনো দলকে সমর্থন করি সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অনেকে হয়তো ভেবেছেন, ভারত হেরেছে,আমি তাই লিখেছি। সেটা মোটেই ঠিক নয়।

ব্যাঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে ১ রানের হার নাকি ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ রানের হার- কোনটা বেশি কষ্টের? এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ২ রানের হারটাই ছিল বেশি কষ্টের। অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম ফাইনাল খেলা। কখনো ভোলার মত নয়। ওই আসরে আমরা দুর্দান্ত পারফরম করে ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলাম; কিন্তু অল্পের জন্য পারিনি। এত ক্লোজ। সব সময়ই খারাপ লাগে।