অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃংখলাবিধির গেজেট প্রকাশ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ ও অপসারণ সংক্রান্ত চাকরির শৃংখলা সংক্রান্ত বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। সোমবার বিকালে এই প্রজ্ঞাপন গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য সরকারি প্রেসে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘শৃংখলাবিধির প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে। সেটি এখন বিজি প্রেসে ছাপা হচ্ছে। একইসঙ্গে গেজেটের কপিও হাতে পাওয়া যাবে।’

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বিচারকদের শৃংখলাবিধি নিয়ে যেসব আপত্তি দিয়েছিলেন- তা বাদ দেয়া হয়েছে কি না।

জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়েছেন। এ কারণে বিধিমালা প্রণয়নে বিলম্ব হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিচারকদের চাকরির শৃংখলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃংখলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

কিন্তু দীর্ঘদিনেও তা প্রণয়ন না হওয়ায় আপিল বিভাগের নির্দেশনায় ২০১৫ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃংখলাবিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়।

২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট এ বিষয়ে শুনানিকালে আপিল বিভাগ বলেন, একটি খসড়া ডিসিপ্লিনারি রুলস তারা (সরকার) দাখিল করেছে। এটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি। এখন আমরা কমিটি করে একটি রুলস তৈরি করে দিয়েছি।

এটির আলোকে শৃংখলাবিধি তৈরি করে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর আপিল বিভাগকে জানাতে সরকারের প্রতি নির্দেশনা ছিল। কিন্তু শৃংখলাবিধির ওই গেজেট জারি না হওয়ায় আপিল বিভাগ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এরপর গেজেট প্রকাশের জন্য সময় চেয়ে ২৫ দফা সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

সর্বশেষ রোববার গেজেট প্রকাশে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে। যুগান্তর