অচল সংযোগে সচল বিল!

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) সেবা না পেয়েও বরগুনার আমতলী উপজেলার গ্রাহকদের প্রতি মাসে গুনতে হচ্ছে টেলিফোন বিল। গত ১০/১২ বছরের বেশি সময় ধরে টেলিফোন লাইন ব্যবহার না করেও অচল লাইনে সচল বিল থাকায় ভূক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আমতলী বিটিসিএল অফিস সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) আমতলী শাখার অফিস ১৯৮৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। ২০০৮ সালের ১ জুলাই বিটিটিবিকে পুর্নগঠন করে এর নাম দেওয়া হয় বিটিসিএল। আমতলী উপজেলায় ৮০০ টেলিফোন সংযোগের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও ওই সময় সর্বোচ্চ গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৪০০টি। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২১৯। এরমধ্যে ১০০টি সংযোগ চালু আছে।

এদিকে, সেবা না পাওয়া গ্রাহকরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সংশ্লিষ্টদেরকে একাধিকবার জানালো সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি। সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করায় মাসের পর মাস টেলিফোন বিল আসছে। বাধ্য হয়ে টেলিফোন বিল পরিশোধ করছেন। এদের মধ্যে অনেক গ্রাহক আছেন যাদের লাইন পাঁচ বছর পূর্বে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে তাদেরও লাইন সচল দেখিয়ে বিল আদায় করা হচ্ছে বলে একাধিক গ্রাহকরা অভিযোগ করছেন।

গ্রাহক মো. কবির উদ্দিন মিয়া বলেন, আমার বাসার টেলিফোন লাইনটি প্রায় পাঁচ বছর ধরে বিচ্ছিন্ন। তারপরেও প্রতি মাসে আমার নামে টেলিফোন বিল আসে। তাই আমাকে বাধ্য হয়ে প্রতি মাসে বিল বাবদ ১৭৩ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।

বরগুনা বিটিসিএলের সহকারী প্রকৌশলী (ফোনস) খন্দকার ফিরোজ আলম জানান, আবেদন করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।