শুক্রবার , ৫ জুন ২০২০ | ৩রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

কর্মীদের বাসা থেকে কাজের অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় ব্যাং

Paris
জুন ৫, ২০২০ ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব বণ্টন বা রোস্টারিং ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে বাসা থেকে অফিস করতে পারবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় এ-সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, করোনার সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত দীর্ঘ সাধারণ ছুটি শেষে গত ৩১ মে অফিস কার্যক্রম পুরোমাত্রায় চালু করা হয়। এরপর থেকে এতদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কাজ করছিলেন। অধিক সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী একসঙ্গে উপস্থিতি হওয়ায় অফিসের প্রধান ফটক, ভবনের ফটক, লিফট, করিডোরে মানবজট তৈরি হয়। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।

এমন পরিস্থিতিতে কর্মীদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে চিঠি দেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল। তারা করোনা মহামারি চলাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যাপ্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং রোস্টারিং ডিউটি চালুর দাবি জানান।

বুধবার (৩ জুন) জাগো নিউজে করোনায় আক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্ধশতাধিক কর্মী শিরোনামের প্রতিবেদন করা হয়। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কাজ করার বেহাল দশা তুলে ধরা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রোস্টারিং করে অফিসের কাজ সম্পাদনের সুযোগ দিয়ে নির্দেশনা জারি করলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সকল বিভাগীয় প্রধান এবং শাখা অফিসের প্রধান নির্বাহী বা মহাব্যবস্থাপক অফিসের কাজের গুরুত্ব বিবেচনায় ও বাস্তবতার নিরিখে সুষ্ঠুভাবে অফিস পরিচালনার নিমিত্তে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব বণ্টন বা রোস্টারিং করতে পারবেন।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শ, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার বিরতিকাল এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে স্বাস্থ্যঝুঁকি ন্যূনতম পর্যায়ে থাকে এবং দৈনন্দিন কাজে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়।

আদেশ অনুযায়ী, ‘যেসব কর্মকর্তা বাসায় অবস্থান করবেন, তাদের বাসা থেকে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। কেউই কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। যেসব কর্মকর্তা অফিসে এসে কাজ করবেন তাদের দুপুরের খাবার দেয়া হবে।’

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য