বৃহস্পতিবার , ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মুখ্যমন্ত্রীরা ‘রাজা’ নন, বলছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

Paris
সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪ ১২:৫৪ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

ভারতের উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর ‘পছন্দের’ কর্মকর্তাকে নিয়োগ করার সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজ্যটিতে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। এবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট থেকেও ব্যাপক সমালোচনা করা হয়েছে সেই সিদ্ধান্তের।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা পুরোনো দিনের রাজাদের মতো আচরণ করতে পারেন না বলেও শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীর এক বিতর্কিত আইএফএস অফিসারকে রাজাজি টাইগার রিজার্ভের ডিরেক্টর হিসাবে নিয়োগ করাকে কেন্দ্র করেই ঘটনার সূত্রপাত হয়।

অভিযোগ রয়েছে, রাজ্যের বনমন্ত্রী ও বন দপ্তরের বিরোধিতা সত্ত্বেও ওই আইএফএস অফিসারকে নিয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি পিকে মিশ্র ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা আর সামন্ত যুগে নেই। সরকারের প্রধানরা পুরোনো দিনের রাজার মতো আচরণ করতে পারেন না।’

রাজ্য সরকার অবশ্য আদালতের ওই বেঞ্চকে বলেছে, বিতর্কিত ওই নিয়োগের আদেশ গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর জবাবে বিচারপতির বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘দেশে জনগণের আস্থা বলে একটা বিষয় আছে। সরকারের প্রধান পুরোনো দিনের রাজার মতো হতে পারেন না যে– তারা যা বলবেন, তাই-ই হবেৃ আমরা সামন্ত যুগে বসবাস করি নাৃ মুখ্যমন্ত্রী বলে যা খুশি করতে পারবেন?’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, যে আইএফএস অফিসারকে নিয়োগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ধামী, তিনি আগে জিম করবেট টাইগার রিজার্ভের ডিরেক্টর ছিলেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। তারপরও কেন ওই কর্মকর্তার প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘অতিরিক্ত ভালবাসা’, জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট।

ভারতের শীর্ষ আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, ফার্স্ট অফিসার থেকে ডেপুটি সেক্রেটারি, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং রাজ্যের বনমন্ত্রীও এই কর্মকর্তার নিয়োগের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ধামী কারোর কথা শোনেননি।

সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘যদি অফিসার থেকে ডেপুটি সেক্রেটারি, তারপর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং মন্ত্রী প্রথম থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন, তখন কেন তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) সেই প্রস্তাব খারিজ করছেন বা বিরোধিতা করছেন, তার ব্যাখ্যা থাকা উচিত।’

‘যার কিছুই গুণ নেই, তার জন্য একজন ভালো অফিসারের বলিদান দিতে পারেন না। যদি তিনি (বিতর্কিত কর্মকর্তা) কিছু না-ই করে থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হচ্ছে কেন? কোনও প্রাথমিক প্রমাণ না থাকলে, কখনও কারোর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হয় না।’

 

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক