বাবর আজমকে খাটো চোখে দেখেছিলেন স্টেইন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

দুজন মুখোমুখি হয়েছেন এখন পর্যন্ত মাত্র ৩টি টেস্ট আর ৩টি ওয়ানডেতে। সেদিক থেকে ভাবলে ডেল স্টেইনের দোষও নেই। মাত্র ৬ ম্যাচে একজন ব্যাটসম্যানের মান পুরোপুরি বোঝা না-ও যেতে পারে। বাবর আজমের মানও তখন ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলার।

তবে গত বছরের জানুয়ারিতে কেপটাউন টেস্টে বাবর আজমকে দেখার পর স্টেইনের উপলব্ধি, বাবরকে খাটো করে দেখেছিলেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান বাবর। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি দুটিতেই তাঁর গড় ৫০-এর বেশি। গত বছর দু-এক দারুণ করেছেন লাল বলের ক্রিকেটেও। ২৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে গড় যেখানে ৪৫.১২, গত দুই বছরে ১৫ টেস্টে সেটি ৬৫.৪৭।

তবে পরিসংখ্যান নয়, বাবরের মান স্টেইন বুঝতে পেরেছেন মুখোমুখি দেখার অভিজ্ঞতায়। ২০১৮-১৯ মৌসুমে পাকিস্তানের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে স্টেইন-কাগিসো রাবাদাদের বিপক্ষে পাকিস্তান দল হিসেবে ভালো না করলেও বাবর ৩ টেস্টে করেছিলেন ২২১ রান, এর মধ্যে কেপটাউন টেস্টে ৮৭ বলে ৭২ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস, যাতে ছিল ১৫টি চার।

ওই ইনিংস দেখেই স্টেইনের উপলব্ধি, বাবরের মানটা খাটো করে দেখেছিলেন তিনি। ক্রিকেট পাকিস্তানকে স্টেইন বলেছেন, ‘বাবরকে এসেই এমন আক্রমণাত্মক খেলতে দেখে ভালো লেগেছে। জানি আমিও তখন টানা পাঁচটা হাফ-ভলি করাতে ও এরকম আক্রমণাত্মক খেলার সুযোগ পেয়েছে। সম্ভবত ওর মানটাকে আমি খাটো করে দেখেছিলাম। দারুণ কিছু শট খেলেছে ও। আমি ভেবেছিলাম অফ স্টাম্পের আরেকটু বাইরে বলগুলো করব, কিন্তু সবগুলো বলই দারুণভাবে খেলছিল ও।’

ওই ইনিংসটাই বাবরের ক্যারিয়ারের বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল বলে মনে করেন স্টেইন, ‘ওই ইনিংসের পর থেকে ও হাজার হাজার রান করেছে। ওই ইনিংসটাকে পরের ধাপে যাওয়ার কাজে ব্যবহার করেছে ও, কারণ ওই ইনিংসে ও নিজের চোখে বিশ্বের সেরা বোলারদের কয়েকজনের বিপক্ষে খেলেছে।’

তবে এরপর দুজনের লড়াই আবার কখনো হলে কী হবে, তা ভালোই জানা স্টেইনের, ‘পরের বার যখন খেলব, সব আবার শূন্য থেকেই শুরু হবে। অতীত সেখানে প্রভাব ফেলবে না। দেখে খুব ভালো লাগছে যে ও এত দারুণ একজন ব্যাটসম্যান হয়ে গেছে।’

 

সুত্রঃ প্রথম আলো