বুধবার , ৮ আগস্ট ২০১৮ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

প্রাথমিকে ৯৯ শতাংশ মিডডে মিল বাস্তবায়ন: প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী

Paris
আগস্ট ৮, ২০১৮ ৬:০১ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:  দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী ছয় থেকে ১১ বছরের শিশুদের ৯৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ মিডডে-মিলের আওতায় এসেছে এবং আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। দেশের প্রত্যেক মাকে উদ্বুদ্ধ করে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি সব মাকে কথা দিয়েছিলাম, যেদিন এটা করতে পারবো, সেদিন আমি সংসদে দাঁড়িয়ে মায়েদের অভিনন্দন জানাবো, স্যালুট করবো।’

বুধবার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশর রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এরাব) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী।
মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেন, ‘যখন মিডডে মিল পলিসি হতে যাচ্ছে তখন বিশেষজ্ঞরা বললেন, শিশুদের দুপুরের পর খিদে লাগলে আর পড়াশোনায় মনোযোগ থাকে না। তাহলে কী করতে হবে? তারা বললেন, খাবার দিতে হবে। কে দেবে? তারা বললেন, সরকার দেবে।

কেন সরকার দেবে? তারা বললেন, বই দেয় সরকার, উপবৃত্তি দেয় সরকার, স্কুলে নিয়ে আসে সরকার, তাই খাবার দেবে সরকার। তাহলে বাবা-মার অবদান কী? তাই সোশ্যাল মোবিলাইজেশনের উদ্যোগ নিলাম। দেশের মায়েদের উদ্বুদ্ধ করতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে সোশ্যাল মোবিলাইজেশন শুরু করলাম। প্রথমে দুটি উপজেলায় পাইলটিং করলাম।’ এরপর সারা দেশে এ কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তথ্যসংবলিত বই দিলাম। বাংলাদেশে এখন টিফিন বাটিতে করে মায়েরা সকালে যে খাবার খায়, সেটাই দিয়ে দেয় দুপুরে খাওয়ার জন্য। শিশুদের প্রতি মায়ের এই মনোযোগ এবং শিশুরাও জানলো দৈনন্দিন মা তার জন্য কী করেন। শিশুদের সঙ্গে মায়েদের বন্ধুত্বের জন্য এই চেষ্টা নিলাম আমি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে রিপোর্ট দিয়েছি, তাতে ৯৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ শিশু তাদের মায়ের খাবার নিয়ে স্কুলে আসে। এখন ছাত্র-শিক্ষক একসঙ্গে বসে স্কুলে দুপুরের খাবার খায়। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখলে শতভাগ করতে পারবো। মিডডে মিল চালু রাখতে বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকা লাগতো। আমাদের ২৫ টাকাও খরচ হয়নি।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী জানান, যে খাবারটা মা তার শিশুকে দেন, সেটি যেন মানসম্মত হয় সে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বৈঠকে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এরাব) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বির নেওয়াজের নেতৃত্বে সংগঠনের অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ - শিক্ষা