প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণ করলে ভাইরাস থেকে সুরক্ষা সহজ হতো: হাছান মাহমুদ

প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর নির্দয় আচরণ না করে সংরক্ষণ করলে অনেক রোগব্যাধি ও ভাইরাস থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেয়া সহজতর হতো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে গাছের চারা রোপণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, এ বছরের দিবসে জীববৈচিত্র সংরক্ষণের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ‘এখনই সময় পরিবেশ বাঁচানোর’ শ্লোগান নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ।

করোনার কারণে আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পালিত হচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমগ্র পৃথিবী করোনাভাইরাসের কারণে স্তব্ধ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও আমরা কিছু ইতিবাচক দিক লক্ষ্য করছি।

সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আপনারা ডলফিন দেখেছেন, যা হাজার হাজার লোকের ভিড়ে ঘটতো না। সুন্দরবনের হরিণগুলো আগের তুলনায় অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু এখানে নয়, এটি সমগ্র পৃথিবীর চিত্র। প্রকৃতি আগের চেয়ে এখন অনেক নির্মল। এতে প্রমাণিত হয়, স্বাভাবিক সময়ে আমরা প্রকৃতির প্রতি কতোটা নির্দয় আচরণ করি, যে কারণে পরিবেশ ও প্রকৃতি তার স্বকীয়তায় বিকশিত হতে পারে না।

পরিবেশ রসায়নে পিএইচডি অর্জনকারী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে মনে করি, এখনকার প্রকৃতির এ নির্মলতা থেকে এও প্রমাণিত হয়, আমরা যদি আমাদের প্রকৃতি ও পরিবেশকে সংরক্ষণ করি, তাহলে অনেক রোগব্যাধি, অনেক ভাইরাস থেকেও মানুষকে সুরক্ষা দেয়া সহজতর হতো।

‘করোনাভাইরাসের কারণে প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান এমনকি জনসম্মুখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও বাতিল করে দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি দেশব্যাপী ১০০ প্রজাতির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যা একটি চমৎকার উদ্যোগ।

আওয়ামী লীগের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।