সোমবার , ৪ এপ্রিল ২০২২ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ধামইরহাটে ৬৯ জন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ, পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন

Paris
এপ্রিল ৪, ২০২২ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর ধামইরহাটে ৬৯ জন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ রয়েছে গত ফেব্রুয়ারী মাস থেকে। কয়েক মাস সম্মানী ভাতা না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে আর্থিকভাবে সংকটে পড়েছেন। অনেক মুক্তিযোদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা দ্রুত সম্মানী ভাতা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ধামইরহাট উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই বিভিন্ন সময়ে যাচাই-বাছাইকালে অনেক ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কখনও কমে আবার কখনও বেড়ে যায়। ২০২১ সালের যাছাই-বাছাইয়ের পূর্বে এ উপজেলায় সরকারি ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়ায় ২শত ৭ জনে। বতর্মান সরকার মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করে মাসিক ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেন। এতে একটি অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার পরিবারে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা এসেছে। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে এ উপজেলার ৬৯ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানীভাতার টাকা সোনালী ব্যাংক ধামইরহাট শাখায় তাদের ব্যক্তিগত হিসাব নম্বরে না আসায় মহাবিপদে পড়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের রসপুর গ্রামের মো.ইয়াকুব আলী মাস্টার বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সময়ে হয়রানি হতে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ উপজেলার ৬৯ জন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সম্মানী ভাতা না আসায় অনেক অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পরিজন নিয়ে আর্থিকভাবে মহাবিপদে পড়েছেন। গত ২০২১ সালের যাচাই-বাছাইয়ের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে ভাতা বন্ধ করা সকল মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে আপীল দায়ের করেছেন। এখনও আপীলের শুনানি হয়নি। তিনি আশা করছেন আপীলে সকল মুক্তিযোদ্ধা সঠিক বলে প্রমাণিত হবেন।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রউফ মন্ডল বলেন, অনেক মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র ভুলসহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে ভাতা বন্ধের কারণ হতে পারে। তবে আপীলে কাগজপত্র সঠিকভাবে উপস্থাপন করলে সকলে সম্মানী ভাতা পাবেন।

ধামইরহাট মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান কমান্ডার উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা সরকারি ব্যাংকে স্ব-স্ব একাউন্টে জমা হয়। কেনো ৬৯ জনের সম্মানী ভাতা বন্ধ। এর সঠিক কারণ একমাত্র মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।

জি/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর