চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গতকাল সিলেটের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তিন দিন ধরেই সিলেট অঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রয়েছে। এই অঞ্চলসহ আরো কিছু জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। চলতি সপ্তাহে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। ধীরে ধীরে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের দিকে এগোচ্ছে দেশ।

আবাহওয়া অফিস সূত্র জানায়, কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামে তখন সেই অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬-৮ ডিগ্রিতে থাকলে তাকে মাঝারি এবং ৬-এর নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। সিলেটে তাপমাত্রা মাত্র ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমলেই চলতি শীতে প্রথমবারের মতো মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, ‘তাপমাত্রা নিচে নামার কারণে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ অঞ্চলে। আমাদের রেকর্ড মতে, আগামী দিনে এখানকার শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে। তাপমাত্রা কমলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। ’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা নেমে এসেছে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলায়। খুলনা বিভাগের বৃহত্তর যশোর জেলায়ও তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি। এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা সামান্য কমলেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। শীতের পাশাপাশি দেশের নদী অববাহিকা ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বাড়তে পারে ঘন কুয়াশা। এসব অঞ্চলে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকলেও অন্যান্য অঞ্চলে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল প্রায় ছয় ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মৌসুমের স্বাভাবিক  লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এদিকে রাজশাহীতেও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীত নিবারণ করতে সাধারণ মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। আবার শীতের কারণে বাড়ছে রোগ-বালাই। ঘরে ঘরে ঠান্ডাজনীত রোগবালাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। রামেক হাসপাতালেও রোগীদের ভীড় বাড়ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীমম ইয়াজদানী।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই রোগীর চাপ বাড়ছে। শীতের কারণে রোগবালাই বৃদ্ধির কারণে রোগীর চাপ বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট এবং ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন রোগীরা।

স/আর