রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রচারণাকালে সংরক্ষিত নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, ৫ জন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আসন্ন রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে গিয়ে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় সংরক্ষিত নারী আসনের এক প্রার্থী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর ভোটের প্রচারণা চালাতে গিয়ে প্রার্থী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী প্রার্থী ধর্ষণের পরের দিন ৮ সেপ্টেম্বর বাদি হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে জেলার বাগমারা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। দায়ের মামলার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বাগমারা থানা পুলিশ। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বাগমারার সাইধারা গ্রামের মৃত মেছের আলীর ছেলে মাহাবুর রহমান (২৮), মৃত লাল মোহাম্মাদের ছেলে আকবর হোসেন (৩৫), বাহমনীগ্রামের আজাহার আলীর ছেলে সোহেল রানা (২৪), বেলাল হোসেনের ছেলে দুলাল হোসেন (২৫) ও আয়েন উদ্দীনের ছেলে ফজলুর রহমান (৪৮)।

ধর্ষণের বর্ণনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আজ রবিবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে ভুক্তভোগী ওই নারী প্রার্থী দৈনিক কালবেলাকে বলেন, আমি নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গেলে বাগমারার আউসপাড়া ইউনিয়নে একটি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তারা আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরের দিন ৮ সেপ্টেম্বর আমি থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। এরপর ওই দিনই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হই। ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমি ওসিসিতে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরি। এরপর আবারো আমি নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে শুরু করি। প্রচারণা এখনো অব্যাহত রেখেছি।’

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের পর থেকে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত আছি। কিন্তু মামলার পর শেষ পর্যন্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা আমি সস্তুষ্ট। আমার দাবি, যারা আমার সর্বনাশ করেছেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেন, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে তিনি বাগমারা উপজেলায় যান। প্রচারণা শেষ হতে রাত হয়ে যায়। বাড়ি ফেরার পথে পাঁচ ব্যক্তি তাঁর গতিরোধ করেন। এ সময় তাঁরা তাঁকে তুলে নিয়ে অস্ত্রের মুখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তিনি চিকিৎসা নেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন শনিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ধর্ষণের কথা স্বীকারও করেছে। ভুক্তভোগী নারী ওসিসিতে ভর্তি ছিলেন। এই ঘটনার গভীর তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত জানানো যাবে।

এস/আই