শীতের শুরুতেই হঠাৎ বৃষ্টি, সুস্থ থাকবেন যেভাবে

আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি। বিগত কয়েকদিন ধরেই আকাশ মেঘলা, একই সঙ্গে আবহাওয়াও বেশ ঠান্ডা। বৃষ্টির কারণে শীত যেন আরও জাঁকিয়ে পড়েছে। এমন সময়ে সুস্থ থাকাটা বড়ই চ্যালেঞ্জের বিষয়। জেনে নিন সুস্থ থাকতে যা করবেন-

> যদি বাইরে বের হওয়ার পর বৃষ্টি ভিজে যান, তাহলে ঘরে ফিরে দ্রুত হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে ফেলুন। বেশিক্ষণ ভেজা কাপড়ে থাকলে জ্বর-সর্দি-কাশি হতে পারে। ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে বা লম্বা চুল থাকলে মাথা ভেজাবেন না একেবারেই।

> ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন গোসলে পর। বৃষ্টিতে ভিজলে ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে শুষ্ক ত্বকে চুলকানি হতে পারে। তাই বডি অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

> এমন দিনে অবশ্যই গরম জামা-কাপড় পরে বাইরে বের হন। অটো বা বাসে জানলার ধারে বসলে মাথা, গলা ভালো করে ঢেকে বসুন। এই ঠান্ডা বাতাসে সর্দি-কাশি হতে পারে। ভাইরাসের সংক্রমণ হয় শরীরে।

> বৃষ্টি না থামা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হবেন না। যদি মাঝ রাস্তায় বৃষ্টি নামে তাহলে কোনো ছাউনির তলায় গিয়ে দাঁড়িয়ে যান। হাজার ব্যস্ততা থাকলেও বৃষ্টিতে ভিজবেন না।

শরীর বাঁচানো গেলেও রাস্তায় জমা পানিতে পা ভিজে যায়। গন্তব্যে পৌঁছেই পা ভালো করে মুছে নিন। সুযোগ থাকলে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন। যদি বৃষ্টির মধ্যে একান্তই বাড়ি থেকে বের হতে হয় তাহলে ব্যাগে জামা ও তোয়ালে অবশ্যই রাখুন।

> বৃষ্টির দিনে অবশ্যই পা ঢাকা জুতা পরবেন। এতে ঠান্ডায় যেমন আরাম পাবেন, তেমনই সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা পাবেন। বৃষ্টির পানি পায়ে লাগলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

মোজা পরতে পারলে পা সুরক্ষিত থাকবে। তবে যদি জমা পানিতে একান্তই হাঁটতে হয় তাহলে মোজা অবশ্যই খুলে নেবেন। ভেজা মোজা পায়ে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

> যে কোনো সংক্রমণ এড়ানোর ক্ষেত্রে প্রাথমিক শর্ত হলো হাত পরিষ্কার রাখা। তাই এমন দিনে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। হাত থেকে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়ায়। তাই হাত সব সময় পরিষ্কার রাখুন। ব্যাগে লিকুইড সোপ, টিস্যু ও স্যানিটাইজার রাখবেন।

> এমন দিনে অবশ্যই সঙ্গে রুমাল রাখুন। মুখ, চোখ ও নাকের মাধ্যমে ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব মুখে হাত দেওয়া এড়িয়ে চলুন। হাঁচি হলে কিংবা চোখ দিয়ে পানি পড়লে রুমাল ব্যবহার করুন।

> শীতে এমনকি বৃষ্টির সময় স্ট্রিট ফুড এড়িয়ে চলুন। এ সময় মেজাজ খারাপ থাকে ও অবসাদ আসে। এমন সময় লোভনীয় সব খাবার খাওয়ার আগ্রহ বাড়ে। তাই বাইরের খাবার একেবারেই খাবেন না।

> এমন দিনে সবচেয়ে উপকারী হলো ভেষজ চা। এ ছাড়াও লবঙ্গ, দারচিনি, তুলসি, গোলমরিচ ও আদা খান। শরীর ভালো থাকবে ও এনার্জিও বাড়বে।

> শীতের সকালে খালি পেটে তুলসি, মধু এবং গোলমরিচের চা পান করতে পারেন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। ফলে ফ্লু সংক্রমণে ঝুঁকি কমবে।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ