সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন ধোঁকাবাজি : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের অধীনে এদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। হতে দেওয়া হবে না। সে নির্বাচন কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না। ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালে যে নির্বাচন করা হয়েছে- সে নির্বাচন আর এদেশে করতে দেয়া হবে না।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন জনগণের সঙ্গে ধোঁকাবাজি। সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

আজ (৫ অক্টোম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

‘বিএনপিকে কারা এবং কেন ভোট দেবে?’ সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের হাত থেকে বাঁচার জন্যে জনগণ বিএনপিকে ভোট দেবে। কারণ আওয়ামী লীগ দেশের যে অবস্থা তৈরি করেছে- মানুষের জীবন ও জীবিকার কোনো নিশ্চয়তা নেই। চতুর্দিকে ভয় আর সন্ত্রাস মানুষকে ঘিরে ধরেছে। দ্রব্যমূল্য নাগালের বাইরে চলে গেছে। কৃষি উৎপাদন পণ্যের দাম আকাশচুম্বি। চাকরি নেই, কর্মসংস্থান নেই। জীবনের নিরাপত্তা, খাদ্য ও কর্মসংস্থানের জন্যে মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে। কারণ দেশের জনগণ এখন আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। সেজন্যেই মানুষ সুযোগ পেলেই বিএনপিকে ভোট দিবে।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, যে কোনো নির্বাচন কমিশনই হোক, নির্বাচনের সময় যদি একটা নিরপেক্ষ সরকার না থাকে- তাহলে সে নির্বাচনটা কখনই সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হয় না। এটা শুধু আমার কথা নয়। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেনসহ অনেকেই আরও আগেই বলেছেন যে, নিরপেক্ষ সরকার থাকাটা নির্বাচন কমিশনের একটা আলাদা শক্তি বা জোর। কাজেই সরকার যদি সহযোগিতা না করে নির্বাচন কমিশন যে-ই হোক না কেন- কোনো দিনই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, এই সার্চ কমিটি পুরোপুরি একটা ধোঁকাবাজি। বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি যে, কমিশন গঠনে সেই সার্চ কমিটি দলীয়করণে সরকারের চেয়েও আরো এক ধাপ এগিয়ে থাকে।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন