মহাপ্রতারক ফিটুকে যেভাবে আটক করলো আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

পত্রিকায় কাজের মেয়ে হারানো বিজ্ঞপ্তিগুলো টার্গেট ছিলো প্রতারক ফারুক হোসেন ফিটুকে (৪২)। তিনি পুরো বিজ্ঞপ্তিটি পড়ে গল্প তৈরি করে বিজ্ঞপ্তিদাতাকে ফোন করে। এসময় বিজ্ঞপ্তিদাতাকে কাজের মেয়ের বিভিন্ন বিবরণ দেয়। এর পরে প্রতারণা শুরু হয় ফিটুর। এমন প্রতারককে আটক করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিন পুলিশকে (আরএমপি)। তবে আরএমপির কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি সাইবার ক্রাইম ইউনিট’র কৃতিত্ব।


এর আগে অভিযোগ পারওয়া পরে আরএমপি পুলিশকে প্রতারক ফারুক হোসেন ফিটুকে (৪২) শনাক্তে বেক পেতে হয়েছে । তবে আশার আলো যুগিয়েছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট। ইউনিটটি বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে প্রতারক ফিটুকে শনাক্তে সফল হয়। এর পরে চলে অভিযান। পাবনা জেলার আমিনপুুর থেকে ফিটুকে আটক করে পুলিশ। ফিটু আমিনপুর চক আবদুল এলাকার নাদের শেখের ছেলে।

আটককৃত প্রতারক ফিটুকে নিয়ে সাংবাদিকদের পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, ফিটু অনেক বড় প্রতারক। ২০১৭ সাল থেকে সারা বাংলাদেশের প্রতারণা চালিয়ে আসছে সে। সে মোবাইল-বিকাশ ও ফেসবুক ব্যবহার করে প্রতারণা চাই। এই প্রতারণার কাজে ১৬ মোবাইল ফোনে ২১টি সিম ব্যবহার করেছে। নাম্বর চেক করতে গিয়ে ৩০টি আইএমও নম্বর পাওয়া গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফারুক হোসেন ফিটু প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়েন। আর খোঁজের হারানো বিজ্ঞপ্তি। এর তিনি হারানো বিজ্ঞপ্তিতে থাকা যোগাযাগের নাম্বর নিয়ে ভুক্তভোগিকে ফোন দেয়। এসময় কৌশলে কণ্ঠ বদল করে কখনো এসআই, কখনো ওসি। আরাবর কখন তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিচয় দেন।

এক পর্যায়ে ফিটু নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দাতাকে আশ্বস্ত করে- আপনার হারানো জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেটি আমার কাছে আছে। এই জন্য আপনাকে কিছু খরচ করতে হবে। এর তিনি ওই ব্যক্তির থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করে। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিকাশের মাধ্যমেও টাকা নিয়ে থাকেন ফিটু। বিকাশ ও মোবাইল নম্বরগুলো নিজের না। অন্যের এনআইডি ব্যবহার করে সিমগুলো তোলা।

পুলিশ জানায়, ফিটুর বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়- এই সিম কোন হত দরিদ্র মানুষের। যেনি প্রতারণা বা সিমের বিষয়ে কিছুই জানেন না। এই সময়গুলো তদন্তে গিয়ে ফিটুকে শনাক্তে বেগ পেতে হয়েছে তাদের। এই ফিটু প্রতি মানে কমপক্ষে ২০ জনকে টার্গেট করে। তাদের থেকে বিভিন্ন কৌশেলে টাকা হাতিয়ে নেয়।

স/আ