বজ্রপাতে রাজশাহী অঞ্চলে একদিনে ছয়জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে বগুড়ায় চারজন, জয়পুরহাটে একজন এবং রানীনগরে একজন।
বগুড়ায় বজ্রপাতে মারা যাওয়া চার কৃষকের মধ্যে কাহালু, ধুনট, শাজাহানপুর ও সারিয়াকান্দি উপজেলার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বজ্রবৃষ্টিতে তাদের মৃত্যু হয়।
এ সময় আরো কয়েকজন আহত হন। আহতদের মধ্যে একজন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
কাহালুতে বজ্রপাতে মৃত মোকলেছার রহমান (৫৫) উপজেলার এরুইল গ্রামের মরহুম কছির উদ্দিনের ছেলে।
কাহালুর মালঞ্চা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে এরুইল বাজারের পাশে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক ধান শুকাচ্ছিলেন। সে সময় হঠাৎ বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রপাতে মোকলেছার ছাড়াও একই গ্রামের হাসান আলী(৩৫) ও রায়হান (২৮) আহত হন। তাদের তিনজনকেই বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোকলেছকে মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর অবস্থায় হাসান আলীকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর রায়হানকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কৃপাসিন্ধু বালা জানান, বিকেল ৪টার দিকে মহিশুরা-সাতটিকরি সড়কের ওপর বজ্রপাতে মারা গেছেন আব্দুস সালাম সরকার (৪৫)। তিনি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের দেরাজ উদ্দিন সরকারের ছেলে। ঘটনার সময় তিনি চারণভূমি থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
বগুড়া মেডিকেল কলেজ ফাঁড়ি পুলিশের কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ মণ্ডল জানান, শাজাহানপুর উপজেলার হরিণগাড়ি গ্রামের নূরুল ইসলামকে( ৪০) বজ্রাহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। মৃত নূরুল ওই গ্রামের মোরশেদের ছেলে।
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমিন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মাঠ থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে লেবু মন্ডল (৩৫) এক কৃষক বজ্রপাতে মারা গেছেন। তিনি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের চর কুড়িপাড়ার বুলু মন্ডলের ছেলে।
এদিকে আমাদের জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান,জয়পুরহাট সদর উপজেলার পারুলিয়া গণকবাড়ী গ্রামে বজ্রপাতে সুকমল চন্দ্র (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাণীনগরে বৃষ্টি হচ্ছিলো। এদিন সন্ধ্যায় মাছ ধরার জন্য জাল ফেলতে বাড়ির পার্শ্বে মাঠে যান মিজানুর রহমান মিঠু আকন্দ। এ সময় বজ্রপাতে তিনি জমিতে টলে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য মিঠু আকন্দকে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বজ্রপাতে মিজানুর রহমান মিঠু আকন্দের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনি হোসেন।