সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
সময়টা খুবই বাজে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার। পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছেন না অজিরা। রীতিমতো ধুঁকছেন তারা। এদিকে ঘনিয়ে আসছে বিশ্বকাপের ক্ষণ। রয়েছে খেতাবরক্ষার চ্যালেঞ্জ। অনেকে আসন্ন বিশ্বমঞ্চে তাদের আন্ডারডগের কাতারে ফেলে দিয়েছেন।
তবে আশায় বুক বাঁধছেন অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন। তার মতে, এবারো বাজিমাত করবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তাকে আশাবাদী করছে বল-বিকৃতি কাণ্ডে এক বছর নির্বাসন কাটিয়ে স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের ফেরা।
আগামী এপ্রিলেই দুই তারকার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাবে। এরপর ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে কোনো বাধা থাকবে না তাদের। তবে সদ্য দু’জনেরই কনুইয়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ফলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে তারা কেমন করবেন, তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সংশয়।
অবশ্য ওয়ার্নের মনে এ নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। কারণ নিষিদ্ধ ড্রাগ সেবনের দায়ে ২০০৩ বিশ্বকাপের আগে এক বছর নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি। অনেকেই তার ফেরা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। তবে সব সন্দেহ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন অজি লেগস্পিনার। রাজকীয়ভাবে প্রত্যাবর্তন করেন। বাকিটা তো ইতিহাস।
সেই অভিজ্ঞতা থেকে ফক্স স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাতকারে ওয়ার্ন বলেন, কখনও কখনও লম্বা বিরতি কাজে লাগে। আমি যেমন এর সঙ্গে অভ্যস্ত। আমি নিজে ১২ মাস ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম। এর ফলে পরে আরও তরতাজা হয়ে ফিরেছিলাম। মানসিকভাবে একদম সতেজ ছিলাম। সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্ত ছিলাম। নিজের কাছে ক্রিকেট কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেই উপলব্ধি হয়।
স্মিথ-ওয়ার্নারেরও নিজেকে প্রমাণের তাগিদ সঙ্গী হবে বলে মনে করেন সর্বকালের সেরা লেগস্পিনার। তার মতে, হ্যাঁ, দু’জনেরই তাগিদ থাকবে। এজন্যই অস্ট্রেলিয়াকে ফের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেখছি। তারা সোজা ঢুকে পড়বে দলে। নিজেদের দেখিয়ে দিতে মরিয়া থাকবে। প্রথম কয়েকটা ম্যাচে হয়তো নার্ভাস থাকবে। সেটা তাদের জন্যই ভালো। আশা করছি, বরাবরের মতোই ওদের ধারাবাহিক দেখব।
ওয়ার্নের সঙ্গে একমত অস্ট্রেলিয়ার নতুন সহকারী কোচ রিকি পন্টিংও। আসছে ৩০ মে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে গড়াবে আইসিসি বিশ্বকাপ-২০১৯। দ্বাদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও পাখির চোখ অস্ট্রেলিয়ার। গেলবারের চ্যাম্পিয়নও ক্যাঙ্গারুর দেশ।