নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী নগরীর নতুন বুধপাড়া এলাকায় শিশু সন্তানকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে পাষণ্ড এক মা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে। পরে ঘরের দরজা ভেঙে নিহত ছেলে শাহরিয়ার আলম কাব্য’র (৭) লাশে এবং আহত মা তসলিমা খাতুনকে (৩৫) উদ্ধার করা হয়।
- এ ঘটনার পরে আহত তসলিমাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। নিহত ছেলে কাব্যের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তসলিমা আগে থেকেই মানসিকভাবে কিছুটা ভারসম্যাহীন ছিল বলেও দাবি করেন তার পরিবারের লোকজন।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেই ওই বাড়িতে শত শত লোকজনে এসে ভীড় করছে।
- নিহত কাব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবা রফিকুল ইসলাম নগরীর মেহেরচন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং এলাকার মোড়ে ওষুধের দোকান রয়েছে।
নগরীর মতিহার থানার ওসি হুমায়ন কবির সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ছেলেকে হত্যার পরেই মা আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। তার শরীরেও জখমের চিহ্ন রয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, সে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
- প্রত্যক্ষদর্শীরা সিল্কসিটি নিউজকে জানায়, কাব্য’র বাবা রফিকুল ইসলাম শনিবার রাত ১০টার দিকে ওষুধের দোকান থেকে বাড়িতে ফেরেন। এসময় তিনি দেখেন ঘরের দরজা ভিতর থেকে আটকানো। তিনি তার স্ত্রী এবং সন্তানকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। কিন্তু কেউ ভিতর থেকে দরজা খুলছিল না।
একপর্যায়ে রফিকুল ইসলাম এলাকাবাসীর সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন ঘরের একটি কোণে ছেলের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। আর তার পাশেই আহত অবস্থায় পড়ে আছে মা তসলিমা।
- এরপর এলাকাবাসী নগরীর মতিহার থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নিহত নিহত কাব্য’র লাশ উদ্ধার করে এবং আহত অবস্থায় তার মা তসলিমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এরপর রাতেই সুরতহাল করে শিশু কাব্য’র লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয়রা সিল্কসিটি নিউজকে জানান, তসলিমা আগে থেকেই কিছুটা মানসিকভাবে ভারসম্যহীন ছিলেন। সে এলাকার কারো সঙ্গে মিসতেন না। এমনকি ঘরের মধ্যে থেকেও তেমন বের হতেন না। তাদের সঙ্গে এলাকার লোকজনের চলা-ফেরারও তেমন ছিল না। এই অবস্থায় শনিবার রাতে ছেলেকে ঘরের মধ্যে কুপিয়ে হত্যা করেন তসলিমা।
স/আর