রবিবার , ৪ মার্চ ২০১৮ | ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ধোঁয়া দেখে আতঙ্ক, হুড়োহুড়ি

Paris
মার্চ ৪, ২০১৮ ৩:৫৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের স্টোররুমে রাখা কম্বলে আগুন লাগার ঘটনায় হাসপাতালজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়া দেখে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের নিচতলার স্টোররুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে শিশু ওয়ার্ডসহ দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভর্তি হওয়া রোগীরা ছোটাছুটি করে হাসপাতালের বাইরে খোলা আকাশের নিচে চলে আসে। এরপর ধোঁয়া বাড়তে থাকে।

শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুর মা তানিয়া বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধোঁয়া দেখে জামাকাপড়, ব্যাগ হাসপাতালের বিছানায় রেখেই বাচ্চাকে নিয়ে দৌড়ে নিচে চলে এসেছি। খুব ভয়ে পেয়ে গেছি। তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ সোহেল জানান, বাবাকে কোলে নিয়ে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ওঠা মাত্রই ‘আগুন আগুন’ চিৎকার শুনতে পান। তাড়াহুড়ো করে নিচে নেমে দেখেন লোকের ভিড়। সবার চোখে মুখে আতঙ্ক।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা মো. সালাউদ্দিন বলেন, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের স্টোররুমে সারি বেঁধে কম্বল রাখা হয়েছিল। এর ওপরই ছিল বৈদ্যুতিক বাতি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, ওই বাতির তাপেই কম্বলে আগুন লাগে। আগুনে কয়েকটি কম্বল ও বালিশ পুড়ে যাওয়া ছাড়া তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

মাদারীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হাসান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল।

মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ফরিদ হোসেন মিয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঢাকা আছি। শুনেছি, শিশু ওয়ার্ডে বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। আমি মাদারীপুর এসে বিষয়টি তদন্ত করব।’

সূত্র: প্রথম আলো

সর্বশেষ - দুর্ঘটনা