আব্দুল বাতেন, গোদাগাড়ী:
পৌষ ও মাঘ এই দুইমাস বাংলার ঋতুগত ভাবে শীত কাল। সবে মাত্র পৌষ মাসের শুরু আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) পৌষ মাসের ৬ দিন। আর এই পৌষ মাসের শুরুতে রাজশাহী অঞ্চলে জেকে বসেছে শীত। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যের মুখ।
এই কনকনে শীতে ছোট শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ মোটা কাপড় পড়েই দিন পার করছে শীত নিবারনের জন্য। আর এই জন্যই শহর নগরসহ বিভিন্ন ফুটপাতের দোকান ও গ্রামঞ্চলে ইতো মধ্যে জমে উঠেছে ফুটপাতে গরম পোষাক কেনার ধুম।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে জমে উঠেছে ফুটপাতে গরম পোষাক কেনার প্রবণতা । শীতের শুরু থেকেই উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে ভ্যানে কিংবা ভ্রাম্যমাণ দোকানঘর গড়ে উঠেছে।
ফুটপাতে সকাল থেকে রাত পযন্ত চলছে বেচাকেনা। শীতবস্ত্র কিনতে ফুটপাতের গড়ে ওঠা কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে নি¤œ ও মধ্যম আয়ের মানুষ। শীত নিবারণে সাধ্যমত কম মূল্যে শীতবস্ত্র কিনতে যাচ্ছেন ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে।
এবারের শীতকে কেন্দ্র করে গোদাগাড়ী পৌর শহরের শহীদ ফিরোজ চত্ত্বর, মহিশালবাড়ী বাজার, সুলতানগঞ্জ, বালিয়াঘাট্টা, কাকনহাট, প্রেমতলী, রাজাবাড়ীসহ লোকসমগম এলাকায় শীতের গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, শিশুসহ নানা বয়সের শীতের বিভিন্ন রকম পোশাক রয়েছে। এর মধ্যে গেঞ্জি, উলের পোশাক, কোর্ট ও জ্যাকেট বেশি বিক্রি হয়। এছাড়া নারীদের জন্য নানা রকম পোশাক রয়েছে। শোয়েটার কিংবা জ্যাকেট সর্বনিন্ম ৬০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় বিকেল বেলা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় ফুটপাতে।
আর এসব দোকানে সকাল থেকেই নারী ও পুরুষদের পোষাক কিনতে লক্ষ করা গেছে। তবে গ্রামঞ্চলে নারী ক্রেতাদের বেশী দেখা গেছে ফুটপাতের দোকন গুলোতে।
সোমবার গোদাগাড়ী উপজেলার সদরের শহিদ ফিরোজ চত্ত্বর বাজারের পাশেই লক্ষ্য করা গেলে ফুটপাতে বসে থাকা দোকানে নারী ক্রেতাদের বেশ ভীড়।
কথা হয় দোকান মালিক ডালিম ও ক্রেতা সাথির সাথে। পোষাক ব্যবসায়ী ডালিম বলেন, কমদামে শীতের পোষাক ক্রয় করতে গ্রামঞ্চলে বেশী নারীরাই আসে। তারা সাচ্ছন্ধে সব বয়সী মানুষদের পোষাক কম দামে ক্রয় করতে পারে। তিনি বলেন গত দুইদিন হতে শীত বেশী পড়ায় বেচাকেনা বেড়েছে। বেশী বাচ্চাদের পোষাক, কম্বল আর বড়দের কোর্ট আর শুয়েটার বিক্রি হচ্ছে। সর্বনিন্ম ৭০ হতে সর্বোচ্চ ৬-৭শত টাকা পর্যন্ত দামের পোষাক বিক্রি হচ্ছে। দিনে প্রায় ১০ হতে ১৫ হাজার টাকা বেচা কেনা করছেন।
নারী ক্রেতা সাথি বলেন ছোট বাচ্চার জন্য পোষাক ক্রয় করতে এসেছি। কম দামে ভাল পোষাক করতে পারি বলেই প্রতিবছর আসি এবং কিছু না কিছু কিনেই বাড়ী যাই।
স/আ