সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত জার্মানির মানুষ। খ্রিস্টানদের বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসবের কেনাকাটার জন্য রাজধানী বার্লিনের ব্যস্ত একটি ক্রিস্টমাস মার্কেটে জড়ো হন অনেকে। সোমবার সেখানেই সাধারণ মানুষের ওপর তীব্র গতিতে ঢুকে পড়ে ঘাতক লরি। এতে নিহত হন অন্তত ১২ জন। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে অর্ধশত। উৎসবের আনন্দে মৃত্যুদানব হয়ে ঢুকে পড়া লরিটির লাইসেন্স প্লেট ছিল পোল্যান্ডের। চালকের পরিচয় এখনও পুলিশ প্রকাশ করেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক লরির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার এক সঙ্গী নিহত হয়েছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মার্কেটের বেশকিছু দোকানপাট ভেঙ্গে পড়েছে। আহত অনেক মানুষ রাস্তায় লুটিয়ে পড়েছেন।
আসন্ন বড় দিন উপলক্ষ্যে জার্মানির অন্য সব শহরের মতো রাজধানী বার্লিনও ছিল উৎসবমুখর। উৎসবের আনন্দের মাঝেই সোমবার নগরীর ব্রাইটশাইড প্লাৎস স্কয়ারের ক্রিস্টমাস মার্কেটে ঢুকে পড়ে ওই ঘাতক লরি। ট্রাকের চালক প্রথমে পালিয়ে গেলেও পরে পুলিশ তাকে আটক করে।
হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। ট্রাক হামলার খবর পুলিশ কর্তৃপক্ষ নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানিয়ে দেয় সবাইকে। আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে রাস্তায় না বেরোনোর পরামর্শও দেওয়া হয়।
চলন্ত লরি নিয়ে চালক ক্রিস্টমাস মার্কেটের প্রায় আশি মিটার ভিতরে ঢুকে পড়ে। ফলে লরির যাত্রাপথে যারা পড়েছেন, তাদের প্রত্যেকেই হতাহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার না করার জন্য সবার প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।
এরইমধ্যে এ হামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলকে এ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেছে। মেরকেল সরকারের মুখপাত্র স্টেফেন সাইবার্ট টুইটারে লিখেছেন, ‘নিহতদের জন্য আমরা শোকাহত। আশা করছি যারা আহত হয়েছেন, তাদের রক্ষা করা যাবে।’
এদিকে বার্লিনের মেয়র মিশেল ম্যুলার দাবি করেছেন, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।’
মঙ্গলবার জার্মানির স্থানীয় সময় দুপুর একটায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে জার্মান পুলিশ। সেখানে তখন পর্যন্ত তদন্তে পাওয়া তথ্য জানানো হবে।
উল্লেখ্য, লরি চালিয়ে মানুষ চাপা দিয়ে হত্যাযজ্ঞ এটাই প্রথম নয়। ২০১৬ সালের ১৪ই জুলাই ফ্রান্সের নিস শহরে একটি উৎসবে ভিড়ের মধ্যে লরি উঠিয়ে দিয়ে ৮৬ জনকে হত্যা করা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন হামলাকারী চালক। পরে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করে। সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা, ডয়চে ভ্যালে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন