আজ যুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা ১ ঘণ্টা পিছিয়ে যাবে

সিলকসিটিনিউজ ডেস্ক:

রবিবার যুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা ১ ঘণ্টা পিছিয়ে যাবে। দিনের আলোকে কাজে লাগাতে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ এলাকার ঘড়ির কাঁটা ৮ মার্চ রবিবার ভোর রাত ২টার সময় এক ঘণ্টা এগিয়ে যায় অর্থাৎ ৩টা বাজাতে হয়। তখন থেকে শুরু হয় ‘ডে লাইট সেভিংস টাইম এবং শেষ হয় নভেম্বরের প্রথম রবিবার। সেই হিসাবে আগামীকাল ৬ নভেম্বর রবিবার ভোর রাত ২টার সময় ঘড়ির কাঁটা এক ঘন্টা পিছিয়ে ১টায় নিয়ে আসতে হবে।

 

উল্লেখ্য বহুল আলোচিত ‘সূর্যালোক সংরক্ষণ’ বা ডে লাইট সেভিং সিস্টেমের অংশ হিসেবে দেশটিতে প্রতি বছরই শীতকালে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পেছনের দিকে ফেরানো হয়। আবার গ্রীষ্মের শুরুতে এই সময় সীমা এক ঘণ্টা এগিয়ে এনে মেলানো হয় স্বাভাবিক সময়সূচির সঙ্গে।

 

নিয়ম অনুযায়ী আগামী বসন্তের শুরুতে ২০১৭ সালের ৫ মার্চ আবারও সামনের দিকে এগিয়ে আনা হবে এই কাঁটা।  তখন নিজেদের ঘড়ির সঙ্গে পুনরায় এক ঘণ্টা সময় যোগ করে নিতে হবে মার্কিনীদের।

 

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্রই এ পদ্ধতি মেনে চলা হলেও নাভাজো ইন্ডিয়ান আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত অঞ্চল ছাড়া অ্যারিজোনা রাজ্য এবং হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ এ পদ্ধতির  তোয়াক্কা না  করে চলে স্বাাভাবিক সময় সূচি মেনে।

 

এদিকে ডে লাইট সেভিংসের ফলে ৬ নভেম্বর সকালে অন্যান্য দিনের থেকে এক ঘণ্টা বেশি সময় ঘুমানোর সুযোগ পাচ্ছেন মার্কিনীরা। রোববার প্রথম প্রহর রাত দু’টোর সময় জনগণকে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে নিতে বলেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

 

‘গ্রীষ্মে এগোনো এবং শীতে পেছানো’ মূলত এই নীতির ওপর ভিত্তি করেই ঘড়ির কাঁটা সামনের দিকে এগিয়ে বা পিছিয়ে নেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ‘ডে লাইট সেভিং টাইম’ পদ্ধতি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বলবৎ হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে। সূর্যের আলোর সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করার র্জামান উদ্যোগের দেখাদেখি যুক্তরাষ্ট্রেও এটি চালু করেন তৎকালীন কর্তাব্যক্তিরা।

তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয় বিশ্বের আরও অনেক দেশেই সূর্যের আলোর সুবিধাকে কাজে লাগানোর জন্য একই পদ্ধতি কার্যকর আছে বিভিন্ন নামে। গত সপ্তাহে ‘ডে টাইম সেভিং লাইট’ পদ্ধতি স্থগিত করে আবারও আগের সময়সূচিতে ফেরত গেছে ইউরোপ। ইউরোপে অবশ্য এ পদ্ধতিকে অভিহিত করা হয় ‘সামার টাইম’ নামে। তবে সমালোচকদের মতে এ পদ্ধতি কাজের কাজ কিছু না করে শুধু শুধু ঝামেলা বাড়ায়। আসলে খুব একটা জ্বালানি সাশ্রয় সম্ভব হয় না বলেই অভিমত তাদের। পাশাপাশি সাধারণ মার্কিনীরাও কিন্তু খুব একটা প্রসন্ন নয় এ পদ্ধতির ওপর। এক জরিপ অনুযায়ী ৪৭ শতাংশ আমেরিকানই মনে করে এ পদ্ধতি খুব একটা কাজে লাগে না।

সূত্র: কালের কণ্ঠ