নিজস্ব প্রতিবেদক:
রিও অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী মার্গারিটা(রিতা) মামুনের বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন আর নেই (ইন্নালিল্লাহে….রাজেউন)। তিনি দীর্ঘদিন থেকে কিডনী, ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাশিয়ার নিজ বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন বলে সিল্কসিটি নিউজকে নিশ্চিত করেছেন তার মামা ও দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আশরাফুল কবীর বুলু।
তার মৃত্যূর খবর জানাজানি হওয়ার পরই দুর্গাপুরের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
- ওদিকে মামুনের লাশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমের পুতিনসহ দেশের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।
অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন থেকেই তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত তিন বছর ধরে মামুন দুর্গাপুরের বাড়িতে আসতে পারেননি।
- তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, মন খারাপ করা একটা খবর। অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী মার্গারিটা মামুনের পিতা, মামুন ভাই গুরুতর অসুস্থ। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবেন না দয়া করে। পশ্চিমা দেশগুলোতে ব্যক্তির অসুস্থতার বিষয়গুলো গোপন রাখার বিধান আছে। তার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা সেটা থেকে বিরত থাকি এবং আল্লাহতালার কাছে তার জন্য দোয়া করি।’
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্র মতে, মার্গারিটার গ্রামের বাড়ির রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ক্ষিদ্রকাশিপুর গ্রামে। রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামটির সন্তান আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়ে মার্গারিটা। তবে গ্রামে তিনি পরিচিত শিপার নামে। চার বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট মামুন।
- মামুনের পরিবারের সদস্যরা জানান, আব্দুল্লাহ আল মামুন দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্টিক পাশ করে তিনি একাদশ শ্রেণীতে ভর্র্তি হন রাজশাহী কলেজে। এখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তিনি ভর্তি হন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে।
এরপর শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে ১৯৮৩ সালে রাশিয়ায় চলে যান মামুন। সেখানে গিয়ে বিয়ে করেন রুশ কন্যা আন্নাকে। মামুন- আন্না দম্পত্তির ঘরে ১৯৯৫ সালের ১ নভেম্বর মস্কোতে জন্ম নেন কন্যা মার্গারিটা। পরে তারা পুত্র ফিলিপ আল মামুনকেও জন্ম দেন।
স/শ