৮ হাজার মুসলিম হত্যা; আজীবন কারাগারে থাকতে হচ্ছে বসনিয়ার কসাই ম্লাদিচকে

আট হাজারও বেশি বসনীয় নিরস্ত্র মুসলিম পুরুষ ও বালককে হত্যার দায়ে আজীবন কারাগারেই থাকতে হবে বসনিয়ার কসাই খ্যাত রাতকো ম্লাদিচকে।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ৫ জন বিচারকের একটি বিশেষ প্যানেল ম্লাদিচের আপিল আবেদন খারিজ করে দিলে তার এ সাজা বহাল থাকে।

২০১৭ সালে সাবেক এই সার্ব কমান্ডারকে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন তিনি।

আপিলে তার আইনজীবী উল্লেখ করেন, সার্বিয়া যুদ্ধের সময়ে ম্লাদিচের অধীনস্ত পুরো বাহিনীর দায় তাকে কেন নিতে হবে?

১৯৯৫ সাল সার্বিয়া যুদ্ধে ৮ হাজারেরও বেশি মুসলিম হত্যার অভিযোগ রাতকো ম্লাদিচের বিরুদ্ধে। যে হত্যাকাণ্ডকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় গণহত্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ পরামর্শক এলিস ওয়াইরিমু নেদারিতু বলেন, এ বিচার ক্ষতিগ্রস্ত এবং ভয়াবহতায় বেঁচে ফেরাদের জন্য ঐতিহাসিক নিশ্চিয়তা সরবরাহ করবে।

১৯৯১ সালে যুগোশ্লোভিয়া সোশ্যালিস্ট ফেডারেশন ভেঙে পড়ার সময় ম্লাদিচ ছিলেন তৎকালীন সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। পরের বছর বসনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করলে তার নির্দেশে সার্ব বাহিনী দেশটিকে দুই টুকরো ফেলে। তখন তিন বছর ধরে চলে বসনিয়ার গৃহযুদ্ধ। এতে প্রায় এক লাখ মানুষ নিহত হন। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত রাতকো ম্লাদিচ ছিলেন তৎকালীন সার্ব সামরিক প্রধান।

১৯৯৫ সালের জুলাইয়ে সেখানে ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত হয়। ওই ঘটনায় অন্তত ৮ হাজারও বেশি নিরস্ত্র মুসলিম পুরুষ ও বালককে হত্যা করা হয়েছিল।

গণহত্যার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পলাতক ছিলেন রাতকো ম্লাদিচ। অবশেষে ২০১১ সালে সার্বিয়া থেকে তাকে আটক করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন