৭ শব্দের চিরকুট থেকে মিলল খুনি!

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

একটি চিরকুটের সূত্র ধরে প্রায় ১৭ মাস পর নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মাধবপাশা এলাকার দুই মাসের শিশু ইমাম হোসেন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। এ ঘটনায় জড়িত ইমাম হোসেনের মা খাদিজা আক্তার পিংকিকে রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পিবিআই সূত্র জানায়, গত বছরের ১৯ এপ্রিল বন্দর থানার ১নম্বর মাধবপাশা (কান্দিপাড়া) এলাকার রুবেলের দুই মাসের শিশু ইমাম হোসেন হারিয়ে যায়। সেসময় ইমাম হোসেনের মা জানান, তার ছেলেকে কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। ২১ এপ্রিল বসতবাড়ির পাশে পুকুর হতে ইমাম হোসেনের লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনার বিচার চেয়ে ইমাম হোসেনের বাবা রুবেল বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটন না হওয়া মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ পরিদর্শক মো. সাইফুল আলম মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন।

পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, পি.পি.এম জানায়, ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পিবিআই ঘটনাস্থল হতে সাত শব্দের একটি ছোট কাগজের টুকরা আলামত হিসেবে জব্দ করেন। জব্দকৃত কাগজে লেখা ছিল ‘বাচা গড়ে গড়ে চুরি করমু সাবথাব’। ওই হস্তলেখার সঙ্গে মিলানোর জন্য আশপাশের সবার হাতের লেখা সংগ্রহ করা হয়। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মা খাদিজা আক্তার পিংকির হাতের লেখার সঙ্গে জব্দ লেখার মিল পাওয়া যায়। খাদিজা আক্তার পিংকির হাতের লেখা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে সংগ্রহ করে নমুনা হস্তলেখা বিশেষজ্ঞ দ্বারা তুলনামূলক পরীক্ষা করে এর সত্যতা মেলে।

পিবিআই জানায়, হস্তলেখার মিল পাওয়ার গতকাল রবিবার খাদিজা আক্তার পিংকিকে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ অফিসে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার স্বামী রুবেল তাকে বার বার টাকার জন্য চাপ দিত। তার স্বামী (বাদী) চাইত তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার পিংকি তাকে কামাই করে খাওয়াবে। সে বাবার বাড়িতে আসার পর তার স্বামী তার কোন খরচ দিত না। এ নিয়ে তার পরিবারের লোকজন তকে উপহাস করত। তাই সে চাপ সহ্য করতে না পেরে নিজের ঘুমন্ত ছেলেকে পুকুরে ফেলে দেয়।

সূত্র: কালের কন্ঠ