৬৪৮ বছরে দেখা মিলবে না এমন চন্দ্রগ্রহণের

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

শেষবার দীর্ঘমেয়াদে চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল ১৪৪০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে। এরপর ২৬৬৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এমন গ্রহণ দেখা যাবে।  ৫৮০ বছরের দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেল শুক্রবার। এমন বিরল দীর্ঘমেয়াদে চন্দ্রগ্রহণ ফের দেখা যাবে ৬৪৮ বছর পর। অর্থাৎ ১ হাজার ২২৯ বছরের মধ্যে এই একবারই এমন চন্দ্রগ্রহণের দেখা মিলল।

আজকের চন্দ্রগ্রহণের মেয়াদ প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা। আর ‘পিনামব্রাল’ পর্যায় আমলে নিলে সব মিলিয়ে ছয় ঘণ্টার গ্রহণ দেখল বিশ্ববাসী।

চাঁদ এবং সূর্যের মাঝামাঝি পৃথিবী এলে পৃথিবীর ছায়া পড়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে। সে ছায়ায় চাঁদের পুরোটা ঢাকা পড়লে বলা হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, আর অংশবিশেষের ক্ষেত্রে সেটিকে বলা হয় আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য অনুযায়ী, আজ চাঁদের ৯৭ শতাংশ সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হয়। সে কারণেই একে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলা হচ্ছে। শুরুতে ক্রমে আঁধারে ঢেকে গেলেও গ্রহণের একপর্যায়ে লালচে রং ধারণ করে চাঁদ। শেষ দিকে আবার ক্রমে আঁধারে ঢেকে যেতে থাকে।

বাংলাদেশ সময় আজ দুপুর ১২টা ২ মিনিটে শুরু হয় পিনামব্রাল চন্দ্রগ্রহণ। পিনামব্রাল পর্যায়ে পৃথিবীর প্রচ্ছায়ায় না থেকে উপচ্ছায়ায় থাকে চাঁদ। মূল ছায়ার বাইরের অংশটুকুতে যখন চাঁদ থাকে, তখন বলা হয় পিনামব্রাল চন্দ্রগ্রহণ। আর ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট এবং ২৪ সেকেন্ডের মূল গ্রহণ বেলা ১টা ১৯ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে। এরপর পিনামব্রালের পরবর্তী ধাপ শুরু হয়। বাংলাদেশ থেকে দেখা গ্রহণটি এ পর্যায়ের।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, আকাশ পরিষ্কার থাকলে বিকেল সোয়া পাঁচটার আশপাশে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।

এবারের গ্রহণের পুরোটা সবচেয়ে ভালো দেখা যায় উত্তর আমেরিকার দেশগুলো থেকে। চাঁদ ওঠার সময় বুঝে অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব এশিয়া, উত্তর ইউরোপ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও তা দৃশ্যমান হয়।