৫১ সন্তানের বাবা! বীর্য দান কখনও কৃত্রিম উপায়ে, কখনও স্বাভাবিক ভাবে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বহু দেশে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর সন্তানেরা। বীর্য দান করে বহু নিঃসন্তান মহিলাকে সন্তানসম্ভবা হতে সাহায্য করেছেন তিনি। ব্রিটেনের সেই বহু আলোচিত বীর্যদাতা কাইলি গর্ডি এই প্রথম জানালেন, দানের প্রক্রিয়ায় কোনও কোনও ক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্কেরও ভূমিকা থাকে। যাঁরা বীর্য চান, প্রস্তাব আসে তাঁদের কাছ থেকেই। তবে প্রস্তাব এলে কাইলি না করেন না। সে ক্ষেত্রে দু’জনই নিজেদের শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে সেই রিপোর্ট দেখে স্বাভাবিক প্রজনন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন।

সন্তান উৎপাদনে ৪০ শতাংশ সাফল্যের রেকর্ড রয়েছে কাইলির। ৫১ সন্তানের বাবা তিনি। ব্রিটেনের নাগরিক কাইলি একটি পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছেন, যাঁরা তাঁর বীর্য ব্যবহার করে সন্তান ধারণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ১০ শতাংশ সন্তান ধারণ করেছেন শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে।

কাইলি প্রথম বীর্য দান করেছিলেন তাঁর বন্ধু এক সমকামী দম্পতির জন্য। তার পর থেকে সন্তান চাওয়া সমকামী দম্পতিদের মাঝেমধ্যেই সাহায্য করতেন তিনি। এক বার এক মহিলা বীর্য চেয়ে যোগাযোগ করেন তাঁর সঙ্গে। তিনি সন্তানসম্ভবা হলে কাইলির মনে হয়, তিনি তো এ ভাবে অনেককেই সাহায্য করতে পারেন। বিষয়টি চাউর হতেই পর পর প্রস্তাব আসতে থাকে তাঁর কাছে। কাইলি জানিয়েছেন, এখন মাসে অন্তত চার-পাঁচ বার বীর্য দান করতে হয় তাঁকে। তবে পুরোটাই নির্ভর করে তাঁর কাছে আসা প্রস্তাবের উপর। ব্রিটেন তো বটেই, আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশের মহিলারাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে জানিয়েছেন কাইলি। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরে ক্যুরিয়ারের সাহায্য নিতে হয়। তবে যাঁরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চান, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সাক্ষাতের কোনও জায়গা ঠিক করে নেন কাইলি। তবে এই পরিষেবা পুরোটাই তিনি দেন বিনামূল্যে।

কাইলি জানিয়েছেন, অর্থের বিনিময়ে তিনি যেমন পরিষেবা দেন না। তেমনই তাঁর এই পরিষেবা কোনও সরকারি অনুমোদনও নেই। তবে এতে এক দিক থেকে তাঁর ভালই হয়েছে। অনুমোদিত বীর্যদাতাদের ১৬ বছর পর্যন্ত সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুমতি দেয় না সরকার। তাঁর ক্ষেত্রে সেই নিষেধ নেই। ফলে ৫১ জন সন্তানের সঙ্গে ইচ্ছেমতো দেখা করতে পারেন তিনি। কাইলি জানিয়েছেন, তাঁর সন্তানদের মায়েরাও তা পছন্দ করেন।

কাইলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কত দিন সন্তানকামী মায়েদের এই পরিষেবা দিয়ে যেতে চান তিনি? জবাবে তিনি বলেছেন, যত দিন ইচ্ছুক মায়েরা তাঁর পরিষেবা নিতে চাইবেন, তত দিন তিনি থামবেন না। সূত্র: আনন্দবাজার