৫০০ কোটির মধ্যে ৫৯ কোটি টাকা ফেরত দিতে চায় কিউকম-ফস্টার

৫০০ কোটি টাকার বেশি পাওনা থাকলেও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ও পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান ফস্টার করপোরেশন একটি আংশিক হিসাব দিয়ে বলেছে তারা আপাতত ৫৯ কোটি টাকা ফেরত দিতে পারবে। মোট ৬ হাজার ৭২১টি লেনদেনের বিপরীতে তারা এ অর্থ পরিশোধ করবে। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক আংশিক প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের এ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানায় প্রতিষ্ঠান দুটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়- যেসব অর্ডারের বিপরীতে কিউকম গ্রাহকের পণ্য ডেলিভারি দেয়নি অথচ গ্রাহক কর্তৃক পরিশোধিত টাকা ফস্টার করপোরেশন লিমিটেডের কাছে আটকে আছে সেসব অর্ডারের বিপরীতে (আংশিক তালিকা) উল্লিখিত টাকার হিসাব করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ হিসাব দিতে আরও সময় চেয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, কিউকম ও ফস্টারের যৌথ আংশিক রিপোর্টমতে ৫৯.০৫ কোটি টাকা আপাতত গ্রাহকদের ফেরত প্রদান করা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিষ্ঠান দুটির কাছে আগামী রবিবারের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ হিসাব চেয়েছি। আশা করি কিউকমের আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত প্রদানের মাধ্যমে ই-কমার্স ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’ এর আগে ২৮ ডিসেম্বর এ দুই প্রতিষ্ঠানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের আটকে থাকা অর্থের হিসাব দিতে নোটিস জারি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ১০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিষ্ঠান দুটিকে এ-সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, কিউকমের একমাত্র পেমেন্ট গেটওয়ে অপারেটর ফস্টার পেমেন্ট। চলতি বছর ২২ জুনের আগে কিউকম ও ফস্টারের মধ্যে গ্রাহকদের অর্থ লেনদেন হয় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩৯৭ কোটি আটকে আছে ফস্টারের কাছে। এ টাকা ফস্টার থেকে উদ্ধার করে গ্রাহকদের ফেরত দিতে প্রতিষ্ঠান দুটির কাছে তথ্য চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন