৪২৫ জন প্রাণ হারিয়েছে নেপালের সেই বিমানবন্দরে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। দীর্ঘ দিন ধরে নেপালের এ বিমানবন্দরটি বিশ্বের সেরা দশ ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দরের তালিকায় রয়েছে।

১৯৭২ সালের পর এ পর্যন্ত সেখানে প্রায় ১৫টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১১ টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৪২৫ যাত্রী।

১. ১৯৭২ সালের ১০ মে থাই এয়ারওয়েজ ডগলাস ডিসি-৪ নামের বিমান অবতরণের সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১০০ যাত্রী ও ১০ ক্রু নিহত হন।

২. ১৯৭২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পিআইএ ফ্লাইট ২৬৮ এর মতো এয়ারবাস অপারেটিং সিস্টেম ক্র্যাশ করে। এতে ১৬৭ যাত্রী নিহত হয়।

৩. ১৯৯৫ সালের ১৭ জানুয়ারি রয়্যাল নেপাল এয়ারলাইনস ডি হ্যাভল্যান্ড কানাডা ডিএইচসি-৬ টুইন অটোটার ফ্লাইট ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানঘাঁটি পেতে সমস্যায় পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে ১ জন ক্রু ও ১ জন যাত্রী নিহত হন।

৪. ১৯৯৯ সালের ৭ জুলাই লাফথান্স কারগো এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৫ হাজার ফুট উচুতে চাঁপাডেভি পাহাড়ে বিপর্যস্ত হয়। এতে ৫ জন ক্রু নিহত হয়।

৫. ১৯৯৯ সালে ৫ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডু নেক্সন এয়ারের ফ্লাইট ট্র্যাভউউন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর সময় ক্র্যাশ ঘটে। নেপাল টেলিকমিউনিকেশন কর্পোরেশনের যোগাযোগ টাওয়ারের সঙ্গে ধাক্তা লেগে এ ঘটনা ঘটে। এতে ১০ যাত্রী ৫ ক্রু নিহত হয়।

৬. ২০১০ সালের ২৪৫ আগস্ট অগনি এয়ার ফ্লাইটের ডর্নিয়ার উড়োজাহাজ কাঠমান্ডুর বাইরে পাহাড়ের মধ্যে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১১ যাত্রী ও ৩ ক্রু নিহত হয়।

৭. ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর লামিডান্ডার বিমানবন্দর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যাওয়ার পথে ট্যারাস এয়ার দে হাভাল্যান্ড কানাডা ডিএইচসি টুইন অটোটার বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৯ জন যাত্রী ও ৩ জন ক্রু নিহত হয়।

৮. ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় বুদ্ধ এয়ার ফ্লাইটের বিমান ভূপাতিত হয়। এতে ১৬ যাত্রী ও ৩ ক্রু নিহত হয়।

৯. ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নেপালে সিটা এয়ারের ফ্লাইট দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ১৬ যাত্রী ও ৩ ক্রু নিহত হয়।

১০. ২০১৭ সালের ২৭ মে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যাত্রা শুরু করার সময় সামিট এয়ারের ফ্লাইট দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে এক ক্যাপ্টেন ও এক কর্র্মকর্তা নিহত হয়।

১১. সর্বশেষ সোমবার (১২ মার্চ, ২০১৮) বাংলাদেশ ত্রিভুবন বিমানবন্দর গিয়ে ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫০ যাত্রী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।