৪১৭ টাকার এমপি বাবলু এখন কোটিপতি

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

বগুড়া-৭ (শাজাহানপুর-গাবতলী) আসনের এমপি রেজাউল করিম বাবলু একাদশ জাতীয় নির্বাচনে হলফনামায় তার মাসিক আয় দেখিয়েছিলেন ৪১৭ টাকা। আর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় তার ও স্ত্রীর বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৩৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৩৫ টাকা। মাত্র পাঁচ বছরে এ এমপির আয় বেড়েছে ৭২৪ গুণ। তিনি এখন কোটিপতি, বাড়ি-গাড়ির মালিক।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান হওয়ায় বগুড়া-৭ আসন দলটির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ থেকে এ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় ভোটের আগের দিন রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবলুকে সমর্থন দেয় বিএনপি। নির্বাচিত হন তিনি।

পাঁচ বছর আগের ওই নির্বাচনের হলফনামায় এমপি বাবলুর স্ত্রী বিউটি বেগমের নামে কোনো টাকা ছিল না। এবারের হলফনামায় তিনি সোয়া কোটি টাকার মালিক। এক হাজার বর্গফুটের একটি বহুতল ভবনের মালিক। পাঁচ বছর আগে বাবলু হলফনামায় উল্লেখ করেন, তার বার্ষিক আয় ৫ হাজার টাকা। জমা টাকা ছিল ৩০ হাজার। পাঁচ বছরে তিনি একটি নিশান এক্সট্রেইল জিপ ও একটি ল্যান্ডক্রুজারের মালিক। গাড়ি দুটির বর্তমান বাজার দর এক কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার। সব মিলে বর্তমানে তার সম্পদ ১ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩৫ টাকা।

এমপি বাবলু তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন এসএসসি পাস। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার পেশা লেখা ছিল ব্যবসা ও সাংবাদিকতা। এবার তিনি পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন- ইট, বালু, সিমেন্টসহ অনলাইন ব্যবসা। স্ত্রী বৈবাহিক সূত্রে ১০ ভরি স্বর্ণ পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রীর নামে এ স্বর্ণের কোনো তথ্য ছিল না। কোনো সম্পদও ছিল না। কিন্তু এবার স্ত্রীকে বাড়ি, স্বর্ণালঙ্কার ছাড়াও নগদ ২ লাখ ৫০ টাকা ও তিন লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেলের মালিকও দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে রেজাউল করিম বাবলু জানান, সম্পদের উৎস ও তার ব্যাখ্যা হলফনামায় দেওয়া আছে।

বগুড়া-৭ আসনে এবার ২৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা (বর্তমানে বহিষ্কৃত) সরকার বাদল। গতকাল যাচাই-বাছাই শেষে ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে এ আসনে এখন ১৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।