২১ বছর পর সোনামসজিদ গণকবরের জমিদখলমুক্ত হলো

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
দীর্ঘ ২১ বছর পর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোনামসজিদ এলাকায় অবস্থিত গণকররের বেদখল হওয়া ২.৮১ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কল্যাণ চৌধুরীকে সাথে নিয়ে সোমবার গণকবর এলাকায় গিয়েওই জমি দখলমুক্ত করেন।

 

ইউএনও শফিকুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে জানান, সোনামসজিদ এলাকার উত্তর হরিরামপুর মৌজার জে. এল নম্বর ৪, খতিয়ান নম্বর ১ দাগ নম্বর ১০৫ ও ১০৮, জমির পরিমাণ ১.৬২ ও ১.১৯ মোট ২.৮১ একর জমি দখলমুক্ত করে গণকররের আওতায় আনা হয়। যেখানে ৫১ টি বড় আম গাছ স্থানীয় প্রভাবশালী ৭০টি পরিবার ভোগ দখল করে আসছিল।

 

তিনি আরও জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর সোনামসজিদ এলাকায় শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ওই জমি সম্পর্কে জানতে পারেন ইউএনও।

 

পরে স্থানীয়দের অনেকে এ জমিকে ব্যক্তিগত দাবি করলেও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কল্যাণ চৌধুরীকে কাগজপত্র দেখার দায়িত্ব প্রদান করলে তিনি পরের দিন ১৫ ডিসেম্বর জমির কাগজপত্র দেখে নিশ্চিত হন যে, গণকররের জমি খাস রয়েছে এবং প্রভাবশালী একটি দল অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছে।

 

এরপর বিভিন্ন অফিসে চিঠি দেয়ার পর অবশেষে সোমবার বিকেলে ২.৮১ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়। সেই সাথে জমিতে থাকা ৫১টি আম গাছ ১৯৯৬ সাল থেকে এলাকার ৭০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি ভোগদখল করে আসছিল তা এখন থেকে ওই জমির  অবস্থিত আম গাছ থেকে অর্জিত টাকা গণকররের জন্য ব্যয় করা হবে। সোনামসজিদের গণকরবই নয় উপজেলার সব গণকবর পর্যায়ক্রমে সংরক্ষণ করা হবে। এর জন্য ইতিমধ্যে একটি কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন ইউএনও।

স/আর