২১ দিনে ২৬৬ মামলা, তবুও থেমে নেই মাদকের চলন্ত গাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাম্প্রতি সময়ে মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে। তার পরেও চলছে মাদক ব্যবসা। প্রতিনিয়তই মাদকদ্রব্য নিয়ে বা সেবনের দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন অনেকেই। শুধু গ্রেফতার নয়, বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনায় ঘটেছে বেশ কয়েটি। তবুও থেমে নেই মাদকের চলন্ত গাড়ি। খুব দ্রুত না হলেও ধীর গতিতে চলছে মাদক ব্যবসা। তহলে কি মাদকদ্রব্য চাহিদা মোতাবেক জোগান ঠিক রাখেছে ব্যবসায়ীরা। যদি তা না হয়, তহলে সেবনের দায়ে কেন এতো সংখ্যক মাদকসেবী গ্রেফতার হচ্ছে এমন প্রশ্ন সকলের।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বিপুল সংখ্যক মাদকসহ গ্রেফতারের পরে তৃণমূলে পৌঁছে যাচ্ছে মাদক। ফলে সেবনকারীরা হরহামেশাই পাচ্ছে বিভিন্ন ধরণের মাদক। ব্যবসায়ীদের দেখা না পাওয়া গেলেও সেবনকারীরা বলছে, ‘সব স্পটে এখন আর মাদক পাওয়া যাচ্ছে না। সেই জন্য দামটা একটু বেশি।’ নাম না প্রকাশের শর্তে এক মাদক সেবনকারী বলেন, আগে বিভিন্নস্থানে মাদক বিক্রি হতো। এখন সেসব জায়গাতে আর পাওয়া যায়না। তবে ব্যবসায়ীরা মাদক নেই বলে দু’বিষ টাকা দাম বেশি নিচ্ছে।

এবিষয়ে কথা হয় নগর পুলিশের মুখপাত্র ও সহকারি পুলিশ কমিশনার ইফতে খায়ের আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপির) অভিযানে গত ১৮ মে থেকে সাত জুন পর্যন্ত ২১ দিনে নগরীতে মাদকদ্রব্যসহ ২শ’ ৯৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই বিষয়ে মামলা হয়েছে ২’শ ৬৬টি। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমানের মাদকদ্রব্যও।

অভিযানের সময় উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্যগুলো হচ্ছে, এক হাজার ৯’শ ৯৬ পিস ইয়াবা, তিন’শ আট গ্রাম হেরোইন, সাত কেজি গাঁজা, ৬’শ ৮০ বোতল ফেন্সিডিল ও দেশি মদ ১’শ ১৬ লিটার। অভিযানগুলোর ফলে মাদক বিক্রি ও সেবনকারীদের বিষয়ে সহকারি পুলিশ কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন, আরএমপিতে অল্প সময়ে অনেক মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। মাদকের বড় ব্যবসায়ীরা আত্মগোপনে রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে। বর্তমান সময়ে বহনকারীরা ব্যবসা করছে। তাদের ছাড় দেয়া হবে না।

স/শা