মার্কিন এমসিসি প্রতিবেদন

২০ সূচকের মাত্র ৩টিতে পাস বাংলাদেশ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
বাংলাদেশ যে তিনটি সূচকে কৃতকার্য হয়েছে, সেগুলো হলো আর্থিক নীতি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও টিকাদানের হার।

বাংলাদেশ যে ১৭টি খাতে কৃতকার্য হয়নি সেগুলো হলো – রাজনৈতিক অধিকার, নাগরিক স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন, সরকারের কার্যকারিতা, আইনের শাসন, তথ্য পাওয়ার স্বাধীনতা, স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়, শিক্ষা খাতে ব্যয়, প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষা, মেয়েদের নিম্ন মাধ্যম শিক্ষাস্তর সম্পন্ন করার হার, শিশু স্বাস্থ্য, আর্থিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের মান, বাণিজ্যনীতি, অর্থনীতিতে লৈঙ্গিক সমতা, ভূমিতে অধিকার, ঋণ পাওয়ার অধিকার ও কর্মসংস্থানের সুযোগ।

গত ৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার)  রাতে এমসিসির প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

মাত্র তিনটিতে কৃতকার্য হওয়ায় প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে অনুত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে। এতে অর্ধেক স্কোর, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও গণতান্ত্রিক অধিকারের ক্ষেত্রে লাল রং ও ক্রস চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় অবনতি হয়েছে তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারে। এর পরই আছে দুর্নীতি।

এমন ফলাফলে বাংলাদেশ এমসিসির তহবিল থেকে এবারও সহযোগিতা পাবে না। কয়েক বছর ধরেই অবশ্য একই অবস্থা চলছে।

২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ করপোরেশন গঠন করে। যা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ন্যায্য গণতান্ত্রিক শাসন, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং জনগণের জন্য বিনিয়োগে প্রতিশ্রুতিশীল দেশগুলোকে চিহ্নিত করা এবং মার্কিন সহায়তার ডলারের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা।

প্রতিবেদনের স্কোরকার্ড দিয়ে এমসিসির সহযোগিতার জন্য দেশগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।

২০২৩ অর্থবছরের এমসিসি প্রতিবেদনেও বাংলাদেশ ২০টি সূচকের মধ্যে তিনটিতে কৃতকার্য হয়েছিল। সেগুলো ছিল মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, টিকাদানের হার ও মেয়েদের নিম্ন মাধ্যম শিক্ষাস্তর সম্পন্ন করার হার।

এবার মেয়েদের নিম্ন মাধ্যম শিক্ষাস্তর সম্পন্ন করার হারেও বাংলাদেশকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।

২০২২ অর্থবছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ চারটি সূচকে কৃতকার্য হয়েছে। সেগুলোর অন্যতম ছিল ‘বিজনেস স্টার্টআপ’।
২০২১ অর্থবছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সরকারের কার্যকারিতা, আইনের শাসন, শিশু স্বাস্থ্য, টিকাদানের হার, ঋণ পাওয়ার সুযোগ ও বিজনেস স্টার্টআপ, অর্থাৎ মোট সাতটি সূচকে কৃতকার্য হয়েছিল।

২০২০ অর্থবছরের এমসিসি প্রতিবেদনে বাংলাদেশ আটটি সূচকে এবং ২০১৯ অর্থবছরে ৯টি সূচকে উত্তীর্ণ হয়েছিল।

২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৩টি সূচকে উত্তীর্ণ হয়। ২০১৭ অর্থবছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ উত্তীর্ণ হয় ১০টি সূচকে।