মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

২০৪১ সালে অর্থনীতিতে শীর্ষ বিশে থাকবে বাংলাদেশ

Paris
ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯ ১১:০৭ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ ২০৪১ সালে বিশ্বের শীর্ষ ২০ অর্থনীতির দেশের তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, এখন আমরা ৩০ তম, ২০২৮ সালে হবো ২৭তম এবং ২০৩০ সালে আমরা বিশ্বের ২৪তম অর্থনীতির দেশ হবো। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালে বিশ্বের শীর্ষ ২০ অর্থনীতির দেশের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হওয়া। তখন বাংলাদেশ হবে বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির দেশ।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) মিলনায়তনে ওয়ালটনের র‍্যান্ডম অ্যাকসেস মেমোরি (র‍্যাম) উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান, ওয়ালটন কম্পিউটার বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মিলটন আহমেদ প্রমুখ।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ওয়ালটন পারে আমাদের স্বপ্নকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে। সরকার আপনাদের সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত। আপনাদের দায়িত্ব হবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। প্রতিবছর অন্তত ১০ শতাংশ করে কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্য নেন।’

পৃথিবীর তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করলেও বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্পের সুফল কাজে লাগাবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবটের ব্যবহার করে এগিয়ে যাবো। আগে তিনবার বাস মিস করেছি, এবার মিস করতে চাই না।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা আগে বিদেশিদের বাজার ছিলাম। সেখান থেকে ঘুরে দাড়ানো শুরু হয়েছে। এখন আমরা ডিজিটাল ডিভাইজের উৎপাদকের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। তবে ডিজিটাল ডিভাইসের সরকারি কেনাকাটায় নানা শর্ত আছে। এসব শর্তের বেড়াজালে এখনো বিদেশি পণ্য কেনা হচ্ছে। আমরা অন্যের বাজার হিসেবে আর থাকতে পারি না। ওয়ালটন ল্যাপটপ নাইজেরিয়াতে রপ্তানিও হয়েছে।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ওয়ালটন মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, এসি, ল্যাপটপ, মোবাইল সবই তো হলো। এখন স্মার্টওয়াচের মতো লাখো ওয়্যারেবল ডিভাইস ইন্টারনেটে যুক্ত হচ্ছে, যা আগামীর ভবিষ্যত। ওয়ালটন আমাকে আশ্বস্ত করেছে, তারা স্মার্টওয়াচও খুব শিগগিরই দেশে বানাবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল ডিভাইসের ওপর শুল্ক কমিয়ে দিলেন, তখন অনেকেই স্থানীয়ভাবে কারখানা করলো। শুধু ওয়ালটনই মাসে ৪ লাখ মোবাইলফোন উৎপাদন করছে।’

তিনি বলেন, মাত্র দেড় বছরে ওয়ালটন ৮০ হাজার ল্যাপটপ তৈরি করেছে। এর মধ্যে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের জন্য আমরা আইসিটি ডিভিশন থেকে ১৩ হাজার ল্যাপটপ কিনেছিলাম। আমি আনন্দের সঙ্গে বলতে পারি, দুই বছরে একটি ল্যাপটপও নষ্ট হয়নি। সেগুলো সুন্দরভাবে কাজ করছে। আজকে ডেল, এইচপি, আসুস, লোনোভোর চেয়ে ওয়ালটন কোন অংশে কম নয়।

ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম বলেন, আমরা একটি কম্পিউটার ও ল্যাপটপের বাহ্যিক দিক দেখি। কিন্তু আজ যে ল্যাপটপটি আমরা খুলে রেখেছি, এটা দেখলেই বোঝা যায় ভেতরে কতো যন্ত্রপাতি। এসব যন্ত্রপাতি দেশে তৈরি হবে এটা অকল্পনীয় ছিল। কিন্তু আমরা তা সম্ভব করেছি। আমরা দেশে সব কিছু বানাতে পারবো। আমরা শুধু উৎসাহ, উদ্দীপনা চাইবো। এই জাতীর জন্য আমরা এই শিল্প রেখে যাবো।

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য