১৯ বছর পরেও মাটির নিচে অক্ষত লাশ

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
১৯৯৮ সালে ভোলাহাট উপজেলার বড়গাছী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মৃতঃ আরাফাত আলীর স্ত্রী ৬০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে বন্যার কারণে উঁচু স্থানে তার নিজ বাড়ীর পাশে দাফন করা হয়। তার ২ মেয়ে, বড় মেয়ে তারা ও ছোট মেয়ে আকতারা।
মায়ের অংশ পেয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ী তৈরীর জন্য তার মেয়ে ভীত খনন করেন। খননের এক পর্যায়ে তার মায়ের লাশ গর্ত থেকে বের হয়ে যায়। তারা দেখে লাশ মুড়ানো কাপড় ও লাশ গলে-পচে না গিয়ে অক্ষত অবস্থায় আছে দেখে সকলেই চমকে উঠে। বিষয়টি মুহুর্তে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন লাশ দেখতে ভীড় জমায়। এক পর্যায়ে লাশটি আবারও একই স্থানে মাটি চাপা দিয়ে রেখে দেয় লাশের পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্জল্যের সৃষ্টি হয়।
আর্শ্চয এ ঘটনায় কৃষ্ণপুর গ্রামের মন্ডল নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, বৃদ্ধা এ নারী তেমন ধর্ম ভীরু ছিলেন না তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কোন খবরও শুনা যায়নি। তিনি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ছিলেন অন্যের বাড়ীতে কাজ করে খেতেন। এ ধরণের ঘটনা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না বলে জানান।
একই ঘটনায় সাবেক জামবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হকও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং এর রহস্য নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান।

স/শ