১৪৫তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ॥ বরেন্দ্রের গৌরব কুমার শরৎকুমার রায়

মো. সফিকুল ইসলাম: কুমার শরৎকুমার রায় শিক্ষা-দীক্ষা, পাণ্ডিত্যে ও মনীষায় ছিলেন বিশ্বমানের। তিনি একাধারে সাহিত্যিক, ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতত্ত্ববিদ, ছিলেন প্রথিতযশা লেখকও। সমাজসেবা ও বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের কারণে সাহিত্যচর্চায় পুরোপুরি নিবেদিত হতে পারেনি।
শরৎকুমার রায়ের তখনকার প্রখ্যাত পণ্ডিতসমাজের সাথে জীবনঘনিষ্ঠ ছিলেন। শরৎকুমারের চেয়ে বয়সে কবিগুরু বড় হলেও ছিলেন বন্ধুপ্রতীম। তাঁদের দ্বারা তিনি কুমার সমাদৃত হতেন। দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায়, ড. দীনেশচন্দ্র সেন ১৯০৮ সালে তাঁর বঙ্গভাষা ও সাহিত্য গ্রন্থের এক কপি কুমার শরৎকুমার রায়কে উপহার হিসেবে প্রদান করেন। গ্রন্থে নিজ হাতে দীনেশচন্দ্র সেন শরৎকুমারের উদ্দেশে লিখেন, বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের আশ্রয়-মহীরুহ শ্রীযুক্ত কুমার শরৎকুমার রায় এম. এ. মহাশয়ের শ্রীকরকমলে কৃতজ্ঞ গ্রন্থকারের প্রীতি উপহার।

শরৎকুমার বেশকিছু গ্রন্থ ও বহু প্রবন্ধের রচয়িতা। গ্রন্থগুলো : মোহনলাল, রবীন্দ্র স্মৃতি, বুদ্ধের জীবন ও বাণী, শিখগুরু ও শিখজাতি ভারতীয় সাধক, শিবাজী ও মারাঠা জাতি, তৌলিক জাতি, মহাত্মা অশ্বিনীকুমার। এবং তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ- উত্তরবঙ্গের প্রত্ন- সম্পাৎ, শিক্ষা সমস্যা, বঙ্কিম সাহিত্যে রাষ্ট্রনীতি, জগদিন্দ্রনাথ স্মৃতি, কুমার বাহাদুরের পত্র, আগ্রায় তিন দিন, দিল্লিতে তিন দিন। মোহনলাল শরৎকুমারের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকীর্তি। ৫৪৭ পৃষ্ঠার মোহনলাল ঐতিহাসিক উপন্যাস সমসাময়িক ইতিহাসের অমূল্য দলিল। মোহনলাল-এ তৎকালীন রাজশাহীর ঐতিহাসিক ঘটনাও স্থান পেয়েছে।
শিখগুরু ও শিখজাতি গ্রন্থের ভূমিকা কবিগুরুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখে দেন, এতে প্রতিভাত হয় যে উভয়ের সম্পর্ক কত গভীর। রবীন্দ্রস্মৃতি কবিগুরুর জন্ম-জয়ন্তী উপলক্ষে শরৎকুমারের দীর্ঘ অভিভাষণ যা পুস্তকাকারে প্রকাশিত। শরৎকুমারের সাথে কবিগুরুর গভীর বন্ধনের নানা দিক রবীন্দ্রস্মৃতি’তে উপস্থাপিত হয়েছে।

তৌলিক জাতি গ্রন্থে শরৎকুমার নিজ বংশের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে গেছেন। তখনকার বিখ্যাত পত্র-পত্রিকা যেমন- সাহিত্য, ভারতী, মানসী ও মর্ম্মবাণী, বঙ্গশ্রী, তিলি বান্ধব ইত্যাদিতে তাঁর লেখা ছাপা হতো। উত্তরবঙ্গের প্রত্ন-সম্পাৎ শরৎকুমারের অসাধারণ রচনা, যা ১৩২১ বঙ্গাব্দে জৈষ্ঠ্য সংখ্যায় সাহিত্যতে ছাপা হয়। এই প্রবন্ধে সমগ্র উত্তর জনপদ তথা বরেন্দ্র অঞ্চলের সীমানা, রাজনৈতিক ইতিহাস, প্রত্নস্থল ও প্রত্ন-সম্পদের বর্ণনা রয়েছে।

রাজশাহীতে সেনদের রাজধানী ছিল বলে তিনি উত্তরবঙ্গের প্রত্ন-সম্পাৎ-এ উল্লেখ করেন। শরৎকুমারের বলেন, রাজশাহী জেলার বর্ত্তমান রাজশাহী শহরের প্রায় চারিক্রোশ পশ্চিমে খেতরীর নিকটে বিজয়নগর অবস্থিত। ইহাই সেনরাজ বিজয়সেনের রাজধানী বিজয়পুর। ইহার উত্তরাংশে দেবপাড়া নামক স্থানে পদুম-শহর নামক দীর্ঘিকার পূর্ব্বতীরে বিজয়সেনদেবের প্রস্তর-লিপি আবিষ্কৃত হইয়াছিল।

…বঙ্গের এই সমস্ত প্রাচীন নগরের যথাযোগ্য প্রত্ন-সম্পদ উদ্ধার করিতে হইলে খননকার্য্য আরম্ভ করিতে হইবে। প্রতœসম্পদের উদ্ধারসাধন হইলেই ইতিহাসের উদ্ধার সাধিত হইবে।

…বাঙ্গালীকেই বাঙ্গালার ইতিহাসের উদ্ধারসাধন করিতে হইবে এবং তাহাকেই কুদালী-হস্তে ভূগর্ভে অবতরণ করিতে হইবে। গায়ে কাদা লাগিবার ভয়ে বা অতিশয় শ্রমসাধ্য বোধে, হঠিলে চলিবে না। যিনি অর্থশালী, তাঁহাকে অর্থদান করিতে হইবে; যিনি শ্রমশীল, তাঁহাকে শ্রমস্বীকার করিতে হইবে; যিনি বিশেষজ্ঞ, তাঁহাকে মস্তিষ্ক চালনাপূর্ব্বক লদ্ধবস্তুর বিশ্লেষণ করিতে হইবে-যিনি যে কার্য্যে পারদর্শী, তাঁহাকে তাহাই করিতে হইবে।

…এইরূপ বিভিন্ন শক্তিশালী ব্যক্তিগণের সমাবেশে এই কার্য্যে সূচনা করিতে হইবে এবং প্রচুর ধৈর্য্যাবলম্বনপূর্ব্বক নিপুণ ও সতর্কভাবে অগ্রসর হইতে হইবে, তবেই বাঙ্গালার ইতিহাস সংকলিত হইতে পারিবে। ইহা একের কার্য্য নহে, বা শুধু গৃহাভ্যন্তরে এ কার্য্য সম্পন্ন হইবার নহে, ইহাতে সমগ্র বাঙ্গালী জাতির সমগ্র-শক্তি-নিয়োগের প্রয়োজন।

শরৎকুমার রায় ধর্মে তিলি সম্পদায়ের। ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার; ধর্মীয় গোঁড়ামী তাঁকে স্পর্শ করেনি কখনও। শরৎকুমার রায় তাঁর বাবুর্চী (পাচক) হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন চারজন মুসলমানকে। এঁরা হলেন, রজব আলী, তমেজ আলী, বাবর আলী ও নছের প্রামানিক। বুধন রুহিদাস নামক মুচিকে কলিকাতা থেকে পাচকের কাজ শিখিয়ে আনা হয়।

শরৎকুমার রায় বেশির ভাগ সময় দয়ারামপুরেই থাকতেন। প্রয়োজনে স্বল্পকালের জন্য তাঁর কলিকাতার বাসভবনে যেতেন। তিনি এফএ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় নাটোরের বড়াই গ্রাম থানার কালিকাপুর গ্রামের গিরীশচন্দ্র মজুমদারের জ্যেষ্ঠ কন্যা কিরণ লেখার সঙ্গে ১৮৯৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রন্ধন বিষয়ে অসাধারণ দক্ষতা ছিল কিরণ লেখার। বরেন্দ্র রন্ধন, বরেন্দ্র জলখাবার নামে তাঁর দুটি গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছিল।

১৮ বছরের বৈবাহিক জীবন কাটিয়ে কিরণ লেখা ১৯১৮ সালে পরলোকবাসী হন। শরৎকুমার-কিরণ লেখা ৬ পুত্র ও ৩ কন্যার জনক-জননী। পুত্রগণ হচ্ছেন, কুমার সবিতা রায়, কুমার অমিতাভ রায়, কুমার মিহিরবিজয় রায়, কুমার অরুণ প্রকাশ রায়, কুমার বিধুবনাথ রায়, কুমার তপন বিকাশ রায় এবং কন্যাগণ রাজকুমারী ললিতা রায়, রাজকুমারী অর্পণা রায় ও রাজকুমারী অপরাজিতা রায়, রাজকুমারী ঊষারানী রায়।

কুমার শরৎকুমার রায় জীবনের প্রায় সকল সঞ্চয় তিনি জ্ঞানচর্চা ও সমাজ উন্নয়নে খরচ করেন। এক বর্ণনায় জানা যায়, স্ত্রী বিয়োগের পর (পুত্র-কন্যারাও শিক্ষালাভের জন্য দূরে) একজন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন কেমন করে একাকী রাজপ্রাসাদে রাত্রিযাপন করেন? উত্তরে নাকি তিনি বলেছিলেন, এটা ভুল ধারণা আমি একা রাত্রিযাপন করি না, আমার সঙ্গে তখন থাকেন বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, শেক্সপীয়ার, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, বায়রন, শেলী, কীটস। আমি তাঁদের সান্নিধ্যেই রাত কাটাই।

উচ্চশিক্ষা লাভের করার পর কুমার শরৎকুমার রায় একই বছরে অনুজ হেমেন্দ্র কুমার রায়কে নিয়ে ইউরোপ যাত্রা করে থিবস, পম্পেই, মিশর-সহ ইতিহাস সমৃদ্ধ প্রাচীন নগরী এবং বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন। বিদেশ সফরে গিয়ে প্রাচীন ঐতিহাসিক নগরী দেখে কুমার মুগ্ধ হন এবং মাতৃভূমির ইতিহাসচর্চায় ব্যাকুল হয়ে ওঠেন।

বরেণ্য পণ্ডিতদের নিয়ে ইতিহাসচর্চা করার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান করা যায় কিনা এ বিষয়ে গভীরভাবে ভাবতে থাকেন কুমার শরৎকুমার রায়। অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় তখন রাজশাহী বারের খ্যাতিমান উকিল ও রমাপ্রসাদ চন্দ রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক। উভয়েই ইতিহাসবিদ হিসেবে বাংলাজুড়ে তখন খ্যাতিমান। তিনজনই মাতৃভূমির ইতিহাস রচনার জন্য গভীর অনুরাগী ছিলেন।

মাতৃভূমির ইতিহাস রচনার অভাববোধ থেকে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আক্ষেপ করে বলেছিলেন, বাঙ্গালার ইতিহাস নাই, নহিলে বাঙ্গালার ভরসা নাই। বাংলা ও বাঙালির গৌরবগাথা ইতিহাস রচনা করার জন্য বঙ্কিমচন্দ্র ইতিহাসপ্রেমী বাঙালিকে গভীর অনুরাগে অনলসভাবে উদারচিত্তে ডাকছিলেন,-আইস আমরা সকলে মিলিয়া বাংলার ইতিহাস অনুসন্ধান করি।

এমনই সময়, ১৯০৮ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের প্রথম সম্মেলনের তৃতীয় অধিবেশন ১৯১০ সালের প্রথম দিকে (১, ২ ও ৩ ফাল্গুন ১৩১৬) বিহারের ভাগলপুরে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে রাজশাহী তথা উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধি হিসেবে উপরিউক্ত তিনজন অংশগ্রহণ করেন কুমার শরৎকুমার রায়, অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ও রমাপ্রসাদ চন্দ।

সম্মেলন শেষে তাঁরা ভাগলপুরের এলাকার পুরাকীর্তি পরিদর্শন করেন এবং বরেন্দ্রভূমির প্রত্ন-সম্পদের আহরণে উদ্বুদ্ধ হন। ভাগলপুর থেকে ফেরার সময় ট্রেনে বসেই সিদ্ধান্ত নেন অচিরেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন। দেশে ফিরে রাজশাহীর অন্যতম প্রধান আইনজীবী হরিমোহন চৌধুরীর সঙ্গে পরামর্শ করে ১৯১০ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বের হন।

প্রথমেই রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানা ও তৎসন্নিহিত প্রাচীন গ্রামসমূহে পাঁচদিনব্যাপি অনুসন্ধান করে ৩২টি দুষ্প্রাপ্য প্রত্ননিদর্শন সংগ্রহে সক্ষম হন। দ্বিতীয় অভিযান শুরু করে একই বছরের (১৯১০) জুনে। কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে বগুড়া, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে থেকে বিপুল পরিমাণ প্রত্ন নিদর্শন সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত প্রত্নদ্রব্যের সাহায্যে তাঁরা একটি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন।
১৯১০ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠন করা হয়। তবে, এই সমিতি অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রথম গঠিত হয় একই বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে।

আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট কুমার শরৎকুমার রায় এবং প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ও অনারারি সেক্রেটারি রমাপ্রসাদ চন্দ। সমিতির প্রথমদিকেই কলিকাতা মিউজিয়ামের তদানীন্তন সুপারিনটেনডেন্ট ইতিহাসবিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের রামকমল সিংহ-সহ খ্যাতিমান পণ্ডিতগণ জড়িত হন।

কুমার শরৎকুমার রায় বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতিতে ১৯৩১ সালে প্রদত্ত এক অভিভাষণে কি উদ্দেশ্যে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠন করেছেন তার বিষদ বর্ণনা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, সত্য আবিষ্কার এবং তাহার দ্বারা মনুষ্য জাতির জ্ঞান ভাণ্ডার পরিপুষ্ট করাই অনুসন্ধান সমিতির মুখ্য উদ্দেশ্য। জ্ঞান ভাণ্ডার পুষ্ট না হইলে মনুষ্য জাতি অগ্রসর হইতে পারে না। সুতরাং মনুষ্য সমাজকে উন্নত করিতে হইলে অনুসন্ধান সমিতির বিশেষ প্রয়োজনীয়তা রহিয়াছে।

কুমার শরৎকুমার রায়ের বড় ভাই রাজা প্রমদানাথ রায় বাহাদুর মিউজিয়ামের জন্য ৫ বিঘা ২ কাঠা ২ ছটাক জমি খরিদ করে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতিকে মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করার জন্য দান করেন এবং ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণের জন্য কিছু জমি দান করেন বাবু দুর্গাদাস ভট্টাচার্য। এই জমির উপরই প্রধানত কুমার শরৎকুমার রায়ের অর্থে (৬৩ হাজার টাকায়) ১৯১৬-১৯১৯ সালের মধ্যে নির্মিত হয় এ দৃষ্টিনন্দন ইমারত।

বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়াম ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বাংলার গভর্নর লর্ড কারমাইকেল, ১৯১৬ সালে ১৩ নভেম্বরে। প্রাচীন গৌড়ের স্থ্যাপত্য শিল্পকলার অনুকরণে সুদৃশ্য মিউজিয়াম ভবনের নকশা প্রণয়ন করেন কুমার শরৎকুমার রায় নিজে।

১৯১৯ সালে ২৭ নভেম্বর বাংলার গর্ভনর লর্ড রোনাল্ডসে এই ইমারতটির দ্বারোদ্ঘাটন করেন। এরপর মিয়াপাড়াস্থ পাবলিক লাইব্রেরিতে থাকা প্রতœনিদর্শনগুলো বর্তমানের এই ইমারতে এনে জনসাধারণের জন্য প্রদর্শন ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় এবং কালক্রমে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি নাম রূপান্তরিত হয়ে বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়াম হয়।

প্রবাসী পত্রিকায় প্যারিমোহন সেনগুপ্ত তখন লিখেন, রাজশাহী বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির চেষ্টায় গত নভেম্বর মাসে যে জাদুঘর বা মিউজিয়াম খোলা হয়েছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় ঘটনা। শিক্ষার যে আদর্শ ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে সকলের স্বপ্নেরও অতীত হইয়া রহিয়াছে। সেই আদর্শকে সফল করিবার এই প্রথম উদ্যোগ (প্রবাসী,ফাল্গুন কলিকাতা, ১৩২৬ বঙ্গাব্দ, পৃ. ৪৪০-৪৪১)। চলবে…


লেখক : উপ-রেজিস্ট্রার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।