১২ সেপ্টেম্বর খুলছে না মানিকগঞ্জের ১৬৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার খবরে সারা দেশের মতো মানিকগঞ্জেও শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ধোয়া মোছার কাজ চলছে। কিন্তু এ জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে চার উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ের মাঠে ও ঘরে পানিতে ভাসছে। এ কারণে ১৬৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপাতত খুলছে না। বন্যার পানি না নামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এ সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদরাসা মিলে মোট ১৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বেশির ভাগ স্কুল কলেজের আশপাশে বন্যার পানি থাকলেও পাঁচটিতে মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে বন্যার পানি রয়েছে। অপরদিকে ৬৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৪টি বিদ্যালয়ের মাঠে, ২৫টি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এ ছাড়া ১৯টি বিদ্যালয়ে বানভাসীরা আশ্রয় নেওয়ায় আপাতত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে না।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার অধিকারী কালের কণ্ঠকে বলেন, দীর্ঘ সময় পর বিদ্যালয় খোলার খবরে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধুয়ে-মুছে পরিস্কার করা হয়েছে। তবে জেলায় বন্যার কারণে ১৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার পরিবেশ নেই।

অপরদিকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা জাহান বলেন, মাত্র পাঁচটি বিদ্যালয়ে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। বাকি বিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস নেওয়া যাবে বলে আশা করছি।

শিবালয় উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ষাইট ঘর তেওতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইউনুস আলী জানান, স্কুল খোলার খবরে শিক্ষকরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বন্যার পানি যে সব বিদ্যালয়গুলোতে ওঠেনি সে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বাভাবিকভাবে ক্লাস নেওয়া হবে বলে আশা করছি।

শিবালয় উপজেলার বর্ধমানকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, এত দিন পর স্কুল খোলার খবরে মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিল। তবে বন্যার পানি আমাদের দীর্ঘ দিনের প্রতিক্ষার অবসান করতে দিল না।