১২ বছর পর শিশুর জন্ম যে দ্বীপে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ব্রাজিলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দ্বীপ ‘ফার্নান্দো দে নরোনহা’-তে ১২ বছর পর একটি শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। শিশুটির আগমনে দ্বীপটিতে চলছে আনন্দ উৎসব। দ্বীপটিতে সন্তান প্রসব নিষিদ্ধ থাকায় এতোদিন দ্বীপটির ভূখণ্ডে কোন শিশুর জন্ম হয়নি। সেখানে হঠাৎ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এক নারী। খবর বিবিসি বাংলার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই নারী বিবিসিকে বলেন, তিনি জানতেনই না যে তিনি গর্ভবতী। তিনি বলেন, হঠাৎ খুব পেট ব্যথা করছিল। টয়লেটে যাওয়ার পর দেখি দু’পায়ের মাঝখান দিয়ে কি যেন একটা বের হচ্ছে। এর পর শিশুটির বাবা এসে উদ্ধার করেন ওই নারীকে।

তিনি জন্ম দিয়েছেন একটি কন্যা শিশুর। তার পরিবারও জানিয়েছে গর্ভধারণ সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতার কথা। এই সন্তানের জন্ম দিয়ে তিনি এক অর্থে আইন অমান্য করেছেন।

তবে সেটি নিয়ে কর্তৃপক্ষ বা দ্বীপের বাসিন্দা কেউই ভাবছেন না। বরং সবাই তাকে সহায়তা করছেন। শিশুর জন্য দরকারি জিনিসপত্র ও কাপড় কিনে দিচ্ছেন।

দ্বীপের জনসংখ্যা প্রায় তিন হাজার। তবে দ্বীপটি ভিন্ন একটি কারণে আগে থেকেই পরিচিত ছিল। সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক জীব-বৈচিত্র্যের কারণে এই দ্বীপটি ২০০১ সাল থেকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে। বিরল উদ্ভিদ এবং জীবজন্তু সমৃদ্ধ দ্বীপটি একটি সংরক্ষিত অঞ্চল।

দ্বীপটিতে যে কারণে সন্তান প্রসব নিষিদ্ধ:

দ্বীপটিতে একটি মাত্র হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে মায়েদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিভাগ নেই। তাই গর্ভবতীদের দ্বীপের বাইরের কোন হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

কোন ধরনের জটিলতা তৈরি হওয়ার ভয়ে সেখানে প্রসবের উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই দ্বীপটি সম্পর্কে আরেকটি তথ্য হল, এটি কোন পৌরসভা বা প্রশাসনের অধীনে নেই। যা আধুনিক বিশ্বে বিরল।

তবে দ্বীপটিতে রয়েছে সুন্দর সমুদ্র সৈকত। যার অনেকগুলো বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর বলে খেতাব পেয়েছে। রয়েছে ডলফিন, তিমি, বিরল পাখি আর কচ্ছপ সহ আরো নানা প্রাণীর সংরক্ষণ। এসব প্রাণী সংরক্ষণের জন্যেও দ্বীপ