চামড়ায় ধরা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দাম আগেই নির্ধারণ করা হলেও বেশি দামে চামড়ার কিনে লোকসানে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।তারা মাঠ থেকে যে দামে চামড়া কিনেছে তার থেকে অনেক লোকসানে চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।

ব্যবসায়ীরা এ লোকসান থেকে কিছুটা রক্ষা পেলেও করুণ অবস্থা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। বেশি দামে চামড়া কিনে আর বিক্রি করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দাপটে চামড়ার কাছে ভিড়তে পাড়ে নি অনেক ব্যবসায়ী। তার পরেও মৌসমি ব্যবসায়ীদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকায় চামড়া কেনায় তাদের লোকসানের মূল কারণ।

চামড়া ব্যবসায়ী পিন্টু বলেন, আগের বার কিছুটা লোকসান হয়ে ছিলো। এবার আরো বেশি হবে। কারণ ব্যবসায়ীরা তেমন চামড়া কিনছেন না। তারা এমন দাম বলছে, যে টাকা আমাদের কেনার থেকে দুই থেকে তিন’শ টাকা কম।

তিনি আরো বলেন, আমরা যারা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তারা যে দামে চামড়া কিনেছেন, আড়তদারদের কাছে এর চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে।

মাহাবুব, নাটোর প্রতিনিধি: অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার জমে উঠেনি নাটোরের চামড়ার বাজার। যদিও প্রতিবার শুধু কোরবানী ঈদে দেশের মোট চামড়ার ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ চামড়া সরবরাহ করা হয় এখান থেকে। ট্যানারী মালিকদের বেধে দেওয়া দামে  চামড়া কিনতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর বেশি দামে চামড়া কিনে লোকসানে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ।

প্রতিবছরই ঈদের দিন থেকেই জমে ওঠে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নাটোরের চকবৈদ্যনাথের চামড়া বাজার। কিন্তু ঈদের দ্বিতীয় দিনেও বাজারে তেমন চামড়ার উপস্থিতি নেই। গ্রামের ফরিয়ারা গতবারের তুলনায় চামড়া কিনে পড়েছেন বিপাকে। আড়তে এসে সে অনুযায়ী দাম পাচ্ছেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। ফলে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে ফরিয়া ও ব্যবসায়ীদের নিশ্চিত লোকসানের আশংকা তাদের।

এদিকে, আড়ৎদারদের দাবি ট্যানারি মালিকরা ঢাকার বাহিরে গরু প্রতি বর্গফুট ৪০টাকা এবং খাসি ২০টাকা নির্ধারণ করলেও সে রেটে তারা চামড়া কিনতে পারছেনা। নির্ধারিত রেটের চেয়ে ১৫ থেকে ২০টাকায় বেশি দর দিয়ে চামড়া কিনতে হচ্ছে।  নির্ধারিত দামের চেয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে চামড়ার মূল্য বেশি থাকায় চামড়া পাচারের আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া মারর উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে লবনের দাম বৃদ্ধি।

প্রতিবার শুধু কোরবানী ঈদে দেশের মোট চামড়ার ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ চামড়া সরবরাহ করা হয় এখান থেকে। কিন্তু ঢাকার ট্যানারী মালিকদের কাছে গতবছরের দুই’শ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় চামড়া কিনতে পারছেনা তারা।

এ বিষয়ে নাটোর চামড়া ব্যাবসায়ী গ্রুপের সহসভাপতি লুৎফর রহমান লাল্টু বলেন,  নাটোর থেকে প্রতি বছর প্রায় ৯ কোটি টাকার চামড়া ঢাকায় পাঠানো হয়। তবে ব্যবসায়ীদের এবার লোকসান হতে পরে।

স/আ