রাজশাহীতে সরকারি কলেজে বেসরকারি কর্মচারী

১১’শ কর্মচারীর দাবি চাকুরি নিয়মিতকরণের

শাহিনুল আশিক:


চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আলফাজ উদ্দিন। তিনি রাজশাহী কলেজে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার চাকরির বয়স ৩০ বছরের বেশি। তার বর্তমান বেতন ৯ হাজার ৬০০ টাকা। একই অবস্থা এই কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আসাদ আলী, আবুল কালাম আজাদ ও আমজাদ হোসেনের। এই কর্মচারিদের বেতন ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে এই পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বেতন পান কলেজ ফান্ডে থেকে। আর পান না সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধা।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগে ৪২টি সরকারি কলেজ। এই কলেজগুলোতে কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে বেসরকারি কর্মচারীর সংখ্যা ১১০০ জন। এর মধ্যে জেলার সরকারি পাঁচটি কলেজে কর্মরত আছেন- ৩২৯ জন। তাদের বেতন ৫ হাজার থেকে শুরু করে ৯ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। সিমিত বেতনে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে এই কর্মচারিগুলোর।

রাজশাহীর সরকারি পাঁচটি কলেজের ৩২৯ জনের মধ্যে রাজশাহী কলেজে আছে- ২০২ জন, সিটি কলেজে ২৭ জন, নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজে ৫১ জন, রাজশাহী মহিলা কলেজে ৩৬ জন ও শহিদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজে ১৩ জন কর্মচারী।

সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের বিভাগীয় সভাপতি এহসানুল কবির জানান, ২০ থেকে ৩৫ বছর যাবৎ সরকারি কলেজে চাকুরি করেও তাদের কলেজ দেয় ৫ হাজার থেকে ৯ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। এই টাকা বেতনে চাকুরি করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। সরকারি কলেজে চাকুরি করেও তারা সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা পান না।

তিনি আরো জানান, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে পরিবার নিয়ে এই বেতনে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই সকল কর্মচারীরা এই দূরদশা থেকে মুক্তি পেতে চাই। চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করা হলেও সরকারি পর্যায়ে থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি। বর্তমানে সাধারণ কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।

প্রসঙ্গত, রোববার (২৪ অক্টোবর) সকালে চাকুরি নিয়মিতকরণ ও রাজস্বখাতে স্থানান্তর। আর চাকুরি নিয়মিতকরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেলে বেতন-ভাতাদি প্রদানের দাবিতে সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নে ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

স/আ