১০ টাকা কেজি চাউল কিনতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
সারাদেশের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেশ কিছুদিন থেকেই ১০ টাকা কেজির চাউল বিক্রি চলছে। সংশ্লিষ্ট ডিলালদের দোকানে চাউল নিতে কার্ডধারীদের উপচে পড়া ভিড়ও দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দামও পড়তির দিকে। কিন্তু তারপরও দেশে চালের দাম দফায় দফায় বেড়েছে আর কমেছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে চালের বিপুল আমদানিও হচ্ছে।

চাউলের মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে এবং গরিব মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিক্রি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। ডিলাররা বিক্রির জন্য চাউল উত্তোলন করে বিক্রি করা শুরু করেছে। পাশাপাশি অতিদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে ওই চাউল দেওয়া হচ্ছে। সারা দেশে জেলা পর্যায়ে ৩০ টাকা কেজি দরে খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রির কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। যেকোনো ব্যক্তি পাঁচ কেজি করে ওই চাল কিনতে পারবেন।

প্রাথমিকভাবে জেলা পর্যায়ে হলেও পরে উপজেলায় ওই চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু করবে খাদ্য অধিদপ্তর। মূলত ট্রাকে করে ডিলাররা ওই চাল বিক্রি করবেন।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় মার্চ, এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই পাঁচ মাস চাল বিতরণ বিক্রি করা হবে। এই কর্মসূচির জন্য বছরে ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল দরকার হবে। ২০১৬ সাল থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হয়।

রোববার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর এমপি মোড় ঘোড়া স্ট্যান্ডে দেখা যায় নারী পুরুষ লাইন হয়ে দাঁড়িয়ে চাউল কিনছে। সবার চোখেমুখে ছিল আনন্দের ছাপ।

চাউল নিতে আসা চকটলার রোজিনা জানান, ১০ কেজিতে হারা ৩০ কেজি চাউল পাইনু, হাঁরা গরীব মানুষ, অত দামদিয়া চাইল কিনা খ্যাইতে হাঁরঘে খুব কষ্ট হয়। হাসিনা সরকার হাঁরঘে ল্যাগা যে ১০ টাকা কেজিতে চাইল দিছে এটা যেনে বন(বন্ধ) না করে। এমন আরো ক্রেতা সোহেল, ঘুটু, মরিউম, ঢালুসহ অনেকে জানিয়েছেন তাঁদের আনন্দের কথা। তাঁদেরও দাবি এ কার্যক্রম যেন সচল থাকে ১২ মাস।

চাউল এর ডিলার মো. আব্দুস সামাদ জানান, ১০ টাকা কেজি চাউল আমরা বিক্রি করছি দরিদ্র মানুষের কাছে। যাদের কাছে চাউল নেবার কার্ড আছে শুধুমাত্র তাঁদের কাছে ৩০ কেজি ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত আমরা ৭৫৫ জন কার্ডধারীর কাছে চাউল বিক্রি করছি। যাদের কার্ড নাই তাঁদের কাছে ভোটার আইডি নিয়ে কাগজপত্র জমা দিচ্ছি কার্ড পেলে তাঁদের কাছেও চাউল বিক্রি করা হবে।

জেলার অন্যান্য স্থানেও চাউল বিক্রির ডিলারের দোকানে ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে চাউল কিনতে দেখা গেছে।

 

স/শ