নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জাতীয় হেল্প লাইন ১০৯ নম্বরে কল করে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে নাটোরের গুরুদাসপুরে উপজেলার দাদুয়া গ্রামের তানিয়া খাতুন (১৬)। পরে মুচ লেখার মাধ্যমে ছাড়া পায় তার পরিবারের লোকজন।
তানিয়া খাতুন উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দাদুয়া গ্রামের আবু তালেবের মেয়ে। স্থানীয় ধারাবারিষা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষা প্রার্থী ছিলেন তিনি।
সূত্র জানায়, রবিবার পাশ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার ভরট গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন সজিবের সাথে তানিয়া খাতুনের বিবাহের দিন ধার্য্য ছিল। কিন্তু তানিয়ার বয়স মাত্র ১৬বছর। পরে এলাকার সচেতন এক নারী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জাতীয় হেল্প লাইন ১০৯ নম্বারে কল করে তানিয়ার বাল্য বিবাহের খবর জানান। পরে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনির হোসেনকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য জরুরী প্রদক্ষেপ নিতে বলা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে তানিয়ার বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেয়। এসময় তানিয়ার বাবা পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, মহিলা অধিদপ্তর থেকে ফোন পাওয়ার পর তানিয়ার বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য জরুরী প্রদক্ষেপ নেয়া হয়। এসময় পুলিশ পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে তাৎক্ষণিক মেয়ের চাচা আব্দুল করিম ও ছাত্রী তানিয়াকে উপজেলা কার্যালয়ে ডেকে আনার পর বাল্য বিবাহ না দেওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
স/অ