সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নে ভাল্লুকে আক্রমণে আহত উপজাতি সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম সিএমএইচে প্রেরণ করেছে বিজিবি।
গত শুক্রবার ১১টার দিকে বাঘাইহাট ব্যাটালিয়নের (৫৪ বিজিবি) নিউথাংনাং বিওপির আওতাধীন এলাকার নিউথাংনাং পাড়ায় পুর্ন বিকাশ ত্রিপুরা (১৬) নামের এক উপজাতি ভাল্লুকের আক্রমণে মুখে, মাথা ও হাতে মারাত্মকভাবে আঘাত পান।
বিজিবির নিউথাংনাং বিওপিতে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে পরদিন আহতকে বাড়িতে পৌঁছিয়ে দিয়ে পুনরায় চিকিৎসা দেন বিজিবির মেডিকেল সহকারী।
তবে পুর্ন বিকাশের অবস্থার অবনতি হলে ১২ মে (রোববার) বিজিবির সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ব্যাটলিংয়ের নিউথাংনাং গ্রামের অনল বিকাশ ত্রিপুরার সঙ্গে ছেলে পুর্ন বিকাশ ত্রিপুরা গ্রামের পাশে একটি ছড়ায় মাছ ধরা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
এ সময় একটি ঝোপ থেকে পাহাড়ী কালো ভালুক হঠাৎই তাদের ওপর আক্রমণ করে। ভালুকের হামলা থেকে পুর্ন বিকাশের বাবা পালাতে সক্ষম হলেও তাকে ভালুকটি ধরে ফেলে।
পরে বাবা অনল বিকাশের চেষ্টায় ভালুকটি পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় ছেলেকে উদ্ধার করে নিউ থাংনাং বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যান অনল। সেখানে বিজিবির মেডিকেল সদস্য দ্রুত আহত পুর্নের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
এ বিষয়ে সাজেকের শিয়ালদাই মৌজার হেডম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জৈপুই থাং ত্রিপুরা বলেন, যতদূর জানি ওই ছড়ার পাশে একটি ভালুক বাচ্চা দিয়েছে। মাছ ধরা শেষে বাবা ও ছেলে বাড়ি ফেরার পথে মা ভালুক নিজের বাচ্চাকে রক্ষায় তাদের ওপর আক্রমণ করে বসে।
সাজেক ৫৪ বিজিবি জোনের জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল আল-হাকিম মোহাম্মদ নওশাদ বলেন, ভালুকের আক্রমণে বেশ আহত হয়েছেন পুর্ন বিকাশ ত্রিপুরা। আমরা যথাসাধ্য তার চিকিৎসা দিয়েছি। তবে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, যা এখানে সম্ভব নয়। তাই আমাদের হেলিকপ্টারে করে তাকে চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, গত দুই বছরে সাজেক ইউনিয়নে ছয়জন ভালুকের আক্রমণে শিকার হয়েছেন।