হালদার পোনায় ভরবে হালদা

উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে দেখা মিলছে না কার্প জাতীয় মাছ কালিগনি ও কালবাউশ। তবে হালদা নদীতে ডিম আহরণের গত মৌসুমে দেখা মিলেছে এ দুই প্রজাতির মাছ। ডিম থেকে পোনা হওয়ার পর এসব মাছের সন্ধান মিলে। তাই এসব পোনাকে উপযুক্ত পরিচর্যা নিয়ে বড় করা হচ্ছে মডেল পুকুরে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের পৃষ্ঠপোষকতা, হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ এবং উপজেলা মৎস্য বিভাগের পর্যবেক্ষণে বড় করা হচ্ছে পোনাগুলো। গত বছর প্রথমবারের মত উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর কার্প জাতীয় মা মাছের মজুদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ‘হালদার পোনায় সমৃদ্ধ সমৃদ্ধ হালদা’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় হালদার রেণু ক্রয় করে সেগুলো গড়দুয়ারা ইউনিয়নের একটি মডেল পুকুরে বড় করা হচ্ছে। গত জুন মাসে হালদা নদী থেকে আহরণ করা প্রায় এক কেজি রেণু পুকুরে ফেলা হয়। গত চার মাসে পোনাগুলোর ওজন গড়ে ১৫০ গ্রাম হয়েছে। ২০০ গ্রামের ওজন হলে এগুলো হালদা নদীতে অবমুক্ত করা হবে। আগামী মাসে এগুলো অবমুক্ত করার কথা।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, দ্বিতীয়বারের মত উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হালদা নদীর পোনা হালদায় ফেলার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা ও খাবার দিয়ে ১৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়েছে। আগামী মাসে এসব মাছ হালদা নদীতে অবমুক্ত করার কথা।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মতে, হালদা নদীর পোনা যথেষ্ট মানসম্পন্ন। তাই উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর পোনা হালদাতে অবমুক্ত করে মা মাছের পরিমাণ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করি। হালদা নদীতে উন্নতমানের মা মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ডিমের পরিমাণও বাড়বে। যা দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন