হারিকেনের তীব্রতায় ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’, রাজশীতেও বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হারিকেনের তীব্রতায় ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’। সৃষ্ট এ ঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজশাহীতেও রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। বৃষ্টি ও শীতের কারণে জনজীবনও ব্যহত হচ্ছে। সকাল থেকে রাজশাহী নগরীর রাস্তা-ঘাটগগুলো প্রায় ফাঁকা হয়ে আছে। শীত ও বৃষ্টির কারণে রিকশার দেখাও মিলছে না তেমন। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৮৮০, কক্সবাজার ৮৫০, মংলা বন্দর থেকে ৭২০ এবং পায়রা বন্দর থেকে ৭৪০ কি.মি দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে।

‘তিতলি’ আরো উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে গোপালপুরের কাছ দিয়ে ভারতের উড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করবে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

স/আর