হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গাজীপুরের শ্রীপুরে মালিককে হত্যা ও চালককে জখম করে সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের দায়ে চার আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ দণ্ড দেন।

রায়ে একই সঙ্গে আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অপর একটি ধারায় ১০ বছর করে সশ্রম কারদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলায় অপর দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নরসিংদীর মনোহরদী থানার কালিয়াকুড়ি গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগুটিয়া চালাবাজার এলাকার আ. গণি ওরফে সুরুজের ছেলে শওকত, একই জেলার শ্রীপুরের মাস্টারবাড়ি এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে মিজান ও নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার বাঘবেড় গ্রামের শাহজাহানের ছেলে শাহীন মিয়া। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে শওকত পলাতক।

গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি রাতে শ্রীপুরের মাঠখোলা খাসপাড়া এলাকার বন থেকে গলাকাটা একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অনুসন্ধানে পুলিশ জানতে পারে উদ্ধার করা মরদেহটি সিএনজি অটোরিকশার মালিক খোকা মিয়ার। তার বাড়ি নরসিংদীতে। কয়েকজন ছিনতাইকারী যাত্রী বেশে অটোরিকশাটিকে বনের মধ্যে নিয়ে, মালিক খোকা মিয়াকে হত্যা করে এবং চালক জসিম উদ্দিনকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার এসআই আব্দুল সালাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো. শহিদুল ইসলাম তদন্ত শেষে ওই মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারক রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে খোকা মিয়াকে হত্যা করে সিএনজি অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ওই চারজনের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অটোরিকশাচালক জসিম উদ্দিনকে আহত করার দায়ে ওই চারজনের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুই আসামি শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার নওকুচি গ্রামের মাইকেল সংমার ছেলে শিশির সংমা এবং ময়মনসিংহের কোতয়ালি থানার চরজেলখানা এলাকার মৃত জাবেদ আলীর ছেলে খোরশেদকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী হারিজ উদ্দিন আহম্মদ এবং আসামি পক্ষে আইনজীবী মুমিন খান ও মোসা. নাসরিন আক্তার মামলাটি পরিচালনা করেন।

সূত্র: রাইজিংবিডি