হত্যার উদ্দেশ্যেই মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা: ফখরুল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, হত্যার উদ্দেশ্যেই কুষ্টিয়ায় মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে মুক্তচিন্তার ওপরে এভাবে আঘাত করে যাচ্ছে। তারা পরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যমের কর্মীদেরকে আক্রমণ করছে। উদ্দেশ্য একটাই- এরা ছদ্মবেশে ভিন্ন পরিচয়ে বাংলাদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) যৌথভাবে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

এতে আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবদুল হাই শিকদার।

এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াজুল ইসলাম রিজু, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।

মানববন্ধন পরিচালনা করেন ডিইউজের সহসভাপতি শাহিন হাসনাত। মানববন্ধন থেকে মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি ও সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা করা হয়। ঢাকায় এ কর্মসূচি হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১টায়।

এছাড়া সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে মঙ্গলবার ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে সাংবাদিকরা।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, কুষ্টিয়াতে পুলিশের যিনি দায়িত্বে রয়েছেন তিনি আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়ংকর সন্ত্রাসী। তার উপস্থিতিতে মাহমুদুর রহমানকে যেভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে তাকে আহত করা হয়েছে এটা নজিরবিহীন ঘটনা।

মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। একই সঙ্গে ঘটনার সময় পুলিশ কর্মকর্তা যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

কুষ্টিয়ায় মাহমুদুর রহমান ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্তৃক অবরুদ্ধ থাকার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানোর পরও তার নিরাপত্তা প্রদানে পুলিশের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, রোববার ঘটনা শোনার পরপরই আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করি। তিনি আমাকে আশ্বাস দেন যে, আমি দেখছি। আমি ব্যবস্থা করছি তার সেইভি বেরিয়ে যাওয়ার। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য। পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বলেছেন তিনি আমার কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর এসপিকে ফোন করেছেন। কিন্তু এসপি-পুলিশের উপস্থিতিতেই মাহমুদুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে আহত করা হয়েছে।