হতে চাইলে কারারক্ষী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
সারা দেশে বিভিন্ন কারাগারে কারারক্ষী, দেহরক্ষী, মহিলা কারারক্ষী পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কারা অধিদপ্তর। আগ্রহীদের ২২ জুলাই সরাসরি বাছাই পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন)
কারারক্ষী, দেহরক্ষী, মহিলা কারারক্ষী পদে আবেদনের জন্য কমপক্ষে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ১ জুলাই ২০১৬ তারিখে সাধারণ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সন্তান ও অন্যান্য কোটার প্রার্থীদের বয়সসীমা ১৮ থেকে ২১ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বয়সসীমা ৩২ বছর। পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতা কমপক্ষে ১.৬৭ মিটার, বুকের মাপ ৮১.২৮ সেমি এবং ওজন ৫২ কেজি হতে হবে। মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ১.৫৭ মিটার, বুকের মাপ ৭৬.৮১ সেমি, ওজন কমপক্ষে ৪৫ কেজি হতে হবে। প্রার্থীকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। কোনো সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত, অপসারিত অথবা দণ্ডপ্রাপ্ত হলে আবেদন করা যাবে না। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি পাওয়া যাবে bit.ly/29HBfUY লিংকে।

কারা আবেদন করতে পারবেন

ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার প্রার্থী; সিলেট বিভাগে সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। খুলনা ও বরিশাল বিভাগে আবেদন করতে পারবেন খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর জেলার প্রার্থীরা। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। মহিলা কারারক্ষী পদে শুধু ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, খুলনা, ভোলা, পিরোজপুর ও জয়পুরহাট জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থী জন্মসূত্রে যে জেলার স্থায়ী বাসিন্দা, শুধু সেই জেলায় নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন, এক জেলার বাসিন্দা অন্য জেলায় আবেদন করতে পারবেন না। তবে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সন্তান, আনসার ও ভিডিপি, এতিম ও উপজাতীয় কোটার প্রার্থীরা সব জেলায় আবেদন করতে পারবেন।

সরাসরি বাছাই পরীক্ষা

আগে আবেদনের প্রয়োজন নেই। আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদনপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ২২ জুলাই সকাল ৯টায় নিজ বিভাগের কারাগার প্যারেড মাঠে উপস্থিত হতে হবে। ঢাকা বিভাগের প্রার্থী ও সব বিভাগের মহিলা প্রার্থীদের বাছাই পরীক্ষা নেওয়া হবে বকশিবাজারের কারা অধিদপ্তর প্যারেড মাঠে। চট্টগ্রাম বিভাগের পরীক্ষা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার প্যারেড মাঠ, সিলেট বিভাগের পরীক্ষা সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার প্যারেড মাঠ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের পরীক্ষা যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার প্যারেড মাঠ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পরীক্ষা রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার প্যারেড মাঠে নেওয়া হবে।

কয়েকজন কারারক্ষী জানান, নির্দিষ্ট তারিখে প্রথমে শারীরিক মাপ পরীক্ষা নেওয়া হয়। শারীরিক মাপ পরীক্ষায় উচ্চতা, ওজন, বুকের মাপ, রক্তচাপ, চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক আছে কি না দেখা হয়। শারীরিক পরীক্ষায় টিকলে একই দিনে ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। সময় দেড় ঘণ্টা। উত্তীর্ণদের ৩০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। প্রত্যেক পরীক্ষায় আলাদাভাবে কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

লাগবে যা যা

কারা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (prison.portal.gov.bd) আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। বাছাই পরীক্ষার সময় সঠিকভাবে আবেদনপত্র পূরণ করে সঙ্গে আনতে হবে। লাগবে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র বা সাময়িক সনদপত্র, সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের দেওয়া চারিত্রিক সনদপত্র বা প্রশংসাপত্র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়র বা ওয়ার্ড কমিশনারের দেওয়া স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে পিতা বা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র ও প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত সদ্য তোলা তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। পরীক্ষা ফি বাবদ ১০০ টাকা ‘কারা মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ, ঢাকার অনুকূলে সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় ১-২২৫১-০০০০-২০৩১ নম্বর কোডে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হবে এবং চালানের মূলকপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। কোটায় আবেদনকারী প্রার্থীদের কোটা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রার্থীদের কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। প্রতিটি সনদের মূল কপির সঙ্গে এক কপি সত্যায়িত ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।

সূত্র: কালের কন্ঠ