স্যামুয়েলস-শেহজাদের ব্যাটিংয়ে হতাশ মাশরাফি

সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:

আগের ম্যাচে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ব্যাটসম্যানরা আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে। চিটাগং ভাইকিংস প্রথম ইনিংসে ১৯০ রান করার পর রাজশাহী কিংস তাদের ইনিংসে করেছে ১৭১ রান। কিন্তু দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই উইকেট যেন বদলে গেলো। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আগে ব্যাটিং করে সংগ্রহ করেছে মাত্র ১২২ রান। মাশরাফি অবশ্য ব্যাটসম্যানদেরই দুষলেন। ব্যাটসম্যানরা টেস্ট মেজাজে খেলেছে বলেই এমন উইকেট মাত্র ১২২ রান।

সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফি ব্যাটসম্যানদের নিয়ে বলেছেন, ‘টেস্ট ম্যাচের মতো ব্যাটিং করলে লো স্কোরিং হবে এটাই স্বাভাবিক। দিনের বেলায় দেখে মনে হচ্ছিলো রাতে এই উইকেটে দুইশো করা সহজ হবে। আমাদের বোলিং ভালো হয়েছে, এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই। ওদেরতো আসলে কোনও চাপ ছিল না, শট খেলতে হবে। ওরা তাই খুব সহজে ম্যাচটি বের করে নিয়ে গেছে।’

মাশরাফি স্পষ্ট করে না বললেও ম্যারলন স্যামুয়েলস ও আহমেদ শেহজাদের ব্যাটিংয়ে হতাশ হয়েছেন। ৬ ওভার শেষে কুমিল্লার স্কোরবোর্ডে দুই উইকেটে মাত্র ২১ রান। দশ ওভার শেষে রান দাঁড়ায় ৪৩। শেষ দশ ওভারে আট উইকেট হাতে থাকলেও বড় স্কোর সংগ্রহ করতে পারেনি স্যামুয়েলস ও শেহজাদ।

মাশরাফি তাতেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন, ‘আসলে কী হয়েছিল জানা যায়নি। এখানে জানতে চাওয়ার ব্যাপার আছে। টিম মিটিং হবে। তারাও জানাবে কী সমস্যা হচ্ছিল ব্যাটিংয়ে গিয়ে। উইকেট যেমনই হোক ১০ ওভারে ৪৩ রানের পর হাতে যখন ৮ উইকেট থাকবে, তখন ব্যাটসম্যানরা অবশ্যই মারমুখী ব্যাটিং করবে। আমি জানি না আসলে মাঠের ভেতর কী হয়েছিল। আমরা অবশ্যই আলোচনা করে জানবো কী সমস্যা হয়েছিল।’

স্যামুয়েলস ও শেহজাদ দুইজনই ৫২ রান করে আউট হয়েছেন। শেহজাদ ৪৫ বলে এবং স্যামুয়েলস ৪৬ বলে এই রান করলেও মাঝে তারা প্রচুর ডট বল দিয়েছেন। শেষ দিকে তাই হাতখুলে না মারার আক্ষেপে পুড়ছেন মাশরাফি, ‘টেস্ট ব্যাটিং বলছি এই কারণে, আমাদের হাতে যখন ৮ উইকেট তারপরও হাত খুলে মারেনি আমাদের ব্যাটসম্যানরা। ১০ ওভার শেষে আমাদের রান ৪৩। তখন অবশ্যই আমাদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা উচিত ছিল। আমাদের মাথায় রাখা উচিত ছিল, এই উইকেটে রাতে বল করা খুব কঠিন। ১৫০ রান না হলেও এমন উইকেটে সুযোগ খুব কম থাকে। শেষ দশ ওভারে আমরা ১০০ রান নিতে পারলেও আমাদের স্কোর হতো ১৫০। মাঝে আমাদের আরও প্রভাব বিস্তার করে খেলা উচিত ছিল।’

আগে বোলিং করলে ১৬০ রান চেজ করতে হতো- মাশরাফি ঠিক এমনটাই মনে করছেন, ‘টস জিতলে অবশ্যই আমরা বোলিং করতাম। তারপরও আমরা মোটামুটি ভালো বোলিং করলে ১৬০ তাড়া করতে হতো। কারণ এই উইকেটে ব্যাটিং করা খুব কঠিন মনে হয়নি। আমরাই ব্যাটিং পারিনি।’

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিং খারাপ হওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন মাশরাফি, ‘১২০-১২২ রান হলে ফিল্ডার হিসেবে মাঠে আক্রমণাত্মক থাকা খুব কঠিন। বোলার হিসেবেও খুব কঠিন। ক্যাচ ফসকে গেছে এটা সত্যি। আসলে ওই সময় ক্যাচ ধরলেও যে আমরা ম্যাচে ফিরতে পারতাম এটা নাও হতে পারত। পরিষ্কারভাবেই বোঝা যায় এই উইকেটে এই রান অনেক কম।’

১২২ রানের পরপরই কী তাহলে ম্যাচ হেরে বসেছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। বিষয়টি ব্যাখা দিতে গিয়ে মাশরাফি বলেছেন, ‘অবশ্যই না। ব্যাটিংয়ের পর ছেড়ে দিয়েছি সেটা নয়। আমাদের দ্রুত ৩-৪টি উইকেট দরকার ছিল এই ম্যাচ জিততে হলে।’

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন