স্মিথ, ব্যানক্রফটকে নিয়ে যা বললেন ওয়ার্নার

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

• বল বিকৃতির পরিকল্পনাটা ওয়ার্নারের মাথা থেকেই এসেছিল
• সে কারণেই স্মিথ ও ব্যানক্রফটের প্রতি বাড়তি সহানুভূতিশীল ওয়ার্নার
• নিজেদের বন্ধুত্বে চিড় ধরবে না বলেই মনে করেন ওয়ার্নার
• নিজেদের ‘বিকৃতির সিদ্ধান্তে’র কোনো অজুহাত নেই বলেই জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সহ অধিনায়ক

বল বিকৃতির (টেম্পারিং) দায়ে প্রায় নির্বাসনে যেতে বসেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। কাগজে-কলমে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পেলেও নিজেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, হয়তো আর কখনোই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা হবে না তাঁর। বল বিকৃতির দায়ে নিষিদ্ধ অন্য দুজন স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট এরই মধ্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। চোখ ভিজিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন সবার কাছে। একটু পরে হলেও মুখ খুলতে হলো ওয়ার্নারকেও।
সঙ্গীরা যা বলেছেন তার বাইরে খুব বেশি কিছু বলেননি। স্মিথ ও ব্যানক্রফটের মতো ওয়ার্নারও সংবাদ সম্মেলনে আবেগাপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন। দায়টা যে তাঁরই বেশি। স্মিথ প্রথম দিন বলেছিলেন লিডারশিপ গ্রুপ বল বিকৃতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে পরে জানা গেছে ওয়ার্নারই নাকি প্রথমে এ প্রস্তাব দিয়েছিলেন! এ কারণেই হয়তো নিজের অপরাধ সম্পর্কে বলতে গিয়েও তাঁর কণ্ঠে দুই সতীর্থের জন্য সহমর্মিতা, ‘এমন ভয়ংকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ই আমরা জানতাম এর ফল কী হতে পারে। এ ঘটনায় আমার যে ভূমিকা, এ জন্য আমি খুবই দুঃখিত। আশা করি আমি যে সমর্থন পাচ্ছি, স্টিভ ও ক্যামেরনও যেন সেটা পায়। কারণ, আগামী ১২ মাস খুব কঠিন এবং আবেগঘন হবে।’
বল বিকৃতির ঘটনায় শুধু শাস্তিই পাননি, দলের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ হয়েছে ওয়ার্নারের। সহ-অধিনায়ক নাকি নিজেকে বাঁচাতে টেম্পারিংয়ের কথা সবাই জানত এমন দাবি তুলেছিলেন। এতে দলের তিন মূল বোলার—মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড ও নাথান লায়ন খেপে গিয়েছিলেন। এর পর ওয়ার্নারের পক্ষে আর কখনো অস্ট্রেলিয়া দলে ওয়ার্নারের খেলা হবে কি না, সে প্রশ্নও উঠেছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বে এমন ঘটনাও চির ধরাতে পারবে না বলেই মনে করেন ওয়ার্নার, ‘আমরা সবাই বন্ধু। একসঙ্গে বেড়ে উঠেছি। অনেক দিন ধরে এক সঙ্গে খেলছি। আগামী ১২ মাস দলের সঙ্গে খেলতে না পারা খুব কঠিন হবে। স্টিভ ও ক্যামেরনের ক্ষেত্রে তাই। কারণ আমরা যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম সেটা ছিল দুঃখজনক, এর কোনো অজুহাত নেই।’

প্রথম আলো