শনিবার , ৩১ মার্চ ২০১৮ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ওমেন পুলিশ অ্যাওয়ার্ড পেলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইসমাতারা

Paris
মার্চ ৩১, ২০১৮ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ

কামাল হোসেন:

ভালো ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০ নারী পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটরিয়ামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

‘বাংলাদেশ ওমেন পুলিশ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’ প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত নারী পুলিশ সদস্যদের হাতে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। পুলিশের নারী সদস্যদের ভালো ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৬ সাল থেকে এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে পুলিশ সদর দপ্তর। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মোছা. ইসমাতারা খাতুন ২০১৭ সালের জুলাই থেকে মোট ৭৬ টি নারী ও শিশু বিষয়ক অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছেন। মাত্র ১০ টি মামলা হয়েছে এর মধ্যে।

এ পুরস্কার অর্জনে মোছা. ইসমাতারা খাতুন এ প্রতিবেদককে জানান, এ অর্জনে নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছে। স্যার পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম- পিপিএম সবসময় আমাদের নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্ক এর মনিটরিং করতেন। স্যারের সঠিক দিক নির্দশনার কারণেই আজ আমার এ অর্জন।

তিনি আরো বলেন, যে কোন কিছু পাওয়া গর্বের আনন্দের। ভবিষ্যতেই আমাদের এ ডেস্ক নারী শিশুদের সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম- পিপিএম বলেন, যে কোন কিছুই অর্জন সে কাজের দায়িত্বটা আরো বাড়িয়ে তোলে। আমি জেলা বাসীর নাগরীকদের আহবান করব, নারী ও শিশু বিষয়ক যে কোন সমস্যার জন্য আমাদের নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্রের সহায়তা নিন। এর জন্য কোন টাকা বা চার্জ দিতে হবে না। সম্পুর্ন বিনা খরচে এ সেবা আমরা প্রদান করে আসছি।

তিনি আরো বলেন, ইসমাতারার জন্য শুভ কামনা রইল। সম্মাননা প্রাপ্তদের মধ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (লজিস্টিক) মিলি বিশ্বাসও রয়েছেন। পুলিশে অসামান্য কৃতিত্ব, সুযোগ্য নেতৃত্ব, সেবাপরায়ণতা ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি এই সম্মাননা পেয়েছেন। বিশেষত বাংলাদেশ পুলিশের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তাঁর রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে নারী উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।

আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তা সহেলী ফেরদৌস বর্তমানে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এআইজি পদে দায়িত্বরত। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটনে ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেখতে পান যে খুলনা শিল্পাঞ্চলে অপরাধপ্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। তিনি এটা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেন। এর অংশ হিসেবে তিনি কমিউনিটি এনগেজমেন্টকে শক্তিশালী করেন। তিনি কাজে নেমে অনুধাবন করেন যে মূলত স্থানীয় তরুণরাই অপরাধে বেশি জড়িয়ে পড়েছে। নেপথ্য কারণ বেকারত্ব ও অফুরন্ত অলস সময়। তিনি ওই তরুণদের কয়েকটি ক্লাবে বিভক্ত করেন। শিল্পাঞ্চলের তরুণদের ফুটবল খেলায় সম্পৃক্ত করেন। আর মেয়েদের আত্মরক্ষার জন্য কারাতে শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। সংস্কৃতি বিকাশের জন্য কালচারাল ক্লাব গঠন করেন। এসব করে তিনি অপরাধ কমাতে সমর্থ হন। উদ্ভাবনী নেতৃত্ব ও প্রো-অ্যাকটিভ অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে গতিশীল পুলিশিংয়ে ভূমিকা রাখায় তিনি এই সম্মাননা পান।

সারা দেশ থেকে আরো পদক পেয়েছেন তারা হচ্ছেন, উপমহাপরিদর্শক মিলি বিশ্বাস, এআইজি সহেলী ফেরদৌস, উপকমিশনার ফাতিহা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী ও নাজমুন নাহার, সিনিয়র এসি শাহনাজ পারভীন, বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামিমা আক্তার, নুরানী ফেরদৌস দিশা, খন্দকার শামীমা ইয়াছমিন, মৌসুমী মণ্ডল, সুপার মাকসুদা আকতার খানম ও কাজী মাকসুদা লিমা, ওসি হাসিনা বেগম ও রানু আক্তার, উপপরিদর্শক সামসুন নাহার আক্তার, নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসমাতারা এবং কনস্টেবল সোনিয়া আক্তার ও মমতাজ খাতুন।

স/শ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর